1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
লেনদেনে শীর্ষে থাকা আইটি খাতে দরপতন
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০ অপরাহ্ন

লেনদেনে শীর্ষে থাকা আইটি খাতে দরপতন

  • পোস্ট হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

দেশের পুঁজিবাজারে সব সূচক কমার মধ্য দিয়ে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল বুধবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। সূচকের পতনেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল পাট খাতের শেয়ারে। ফলে এ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। এছাড়া এদিন লেনদেনে শীর্ষে থাকা আইটি খাতেও পতন হয়েছে। ডিএসইর মোট লেনদেনের একটি বড় অংশ আলোচ্য খাতে লেনদেন হয়। কিন্তু লেনদেনে শীর্ষ অবস্থানে থেকেও খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল পাট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে এক দশমিক ৮০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১টির দর বেড়েছে এবং ২টির দর কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিরামিক খাতে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এদিন খাতটিতে মোট ৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১টির দর বেড়েছে এবং ২টির দর কমেছে ও ২টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল প্রকৌশলী খাত। এ খাতে লেনদেন হওয়া ৪২টি কোম্পানির মধ্যে ৬টির শেয়ারদর বেড়েছে এবং ১১টির শেয়ারদর কমেছে। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, বস্ত্র, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, সিমেন্ট এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় ভ্রমণ খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। এরপর স্থানে থাকা আইটি খাতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ২০ শতাংশ। ১ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল সাধারণ বিমা খাত। চতুর্থ স্থানে থাকা কাগজ ও মুদ্রণ খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আইটি খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশলী খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমকি ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১১ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হওয়া কাগজ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইর লেনদেন ৪০০ কোটি টাকার ঘরে। আর সিএসইর লেনদেন সাড়ে ৫ কোটি টাকার ঘরে রয়েছে। ডিএসইতে ১৩৭টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। ২৭টির বেড়েছে। সিএসইতে ৬০টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। ১৭টির বেড়েছে।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, ডিএসইতে ৪৩১ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৩৩ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১ দশমিক ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৪৫ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২২২ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৬৬ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ২৭টি এবং কমেছে ১৩৭টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৪৬টির।

অপরদিকে, সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবস ১২ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৩২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ১৭টি, কমেছে ৬০টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৫৫টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৭ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৩৪ দশমিক ৯৪ পয়েন্টে।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ