শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও রাষ্ট্রায়াত্ত্ব কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) দুটি সাবমেরিন কেবল স্থাপনের জন্য সরকারের কাছ থেকে প্রায় ১৯১ কোটি টাকা নেওয়া হয়। যা শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সমন্বয় করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এতে করে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ও শেয়ার সংখ্যা বাড়বে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সিষ্টেম (এসএমডব্লিউ৫) স্থাপনে ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকারের কাছ থেকে ১৬৬ কোটি টাকা ইক্যুইটি হিসেবে নেয়। এছাড়া ৩য় সাবমেরিন কেবল স্থাপনে (চলমান) ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা নিয়েছে। অর্থাৎ মোট ১৯০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা নিয়েছে। যা সরকারের অনুকূলে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সমন্বয় করা হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের পরে এবং সরকারের অনুমোদনের পরে অর্থমন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও নীতি পরিপালন করে ওই ১৯০ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার ইস্যু করা হবে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। এতে করে ভবিষ্যতে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা বাড়বে। তবে এখন শেয়ার ইস্যু না করলেও ওই অর্থকে বিবেচনায় নিয়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) গণনা করায়, ভবিষ্যতে ইপিএসে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
এদিকে নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) ২০২০ সালের ২ মার্চের এক নির্দেশনায় শেয়ার মানি ডিপোজিটকে অফেরতযোগ্য ও ৬ মাসের মধ্যে শেয়ার ক্যাপিটালে রুপান্তর করার কথা বলা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ সাবমেরিন কর্তৃপক্ষ তা পালন করেনি। যদিও ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ শেয়ার ইস্যুর বিসয়ে অফিসিয়াল প্রক্রিয়া শেষ করেছে, তারা শুধু অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া রাষ্ট্রীয় বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৬৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এরমধ্যে ২৬.১৬ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের হাতে। রবিবার (০৮ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২১৮.৯০ টাকায়।