1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেন চালুর মাধ্যমে বিনিয়োগের বিকল্প সুযোগ তৈরী
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ অপরাহ্ন

সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেন চালুর মাধ্যমে বিনিয়োগের বিকল্প সুযোগ তৈরী

  • পোস্ট হয়েছে : সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২

ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এর সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও বলেছেন, আজকে থেকে সরকারি সিকিউরিটিজ ট্রেড করছি। আমাদের নতুন একটা উইন্ডো ওপেন হলো, এটাও কিন্তু টেকনোলজির একটা পার্ট। এবং এই উইন্ডোর ফলে ট্রেডিং ভলিউম যেমন আমাদের বাড়বে, জিডিপির সাথে যে গ্যাপটা ছিল স্টক মার্কেটের, সেই গ্যাপটাও অনেকাংশে কমে আসবে। পাশাপাশি আমরা নতুন একটা ইনুস্ট্রুমেন্ট পাবো, একটা নতুন মার্কেট পাব। তখন দেখা যাবে ইকুইটি মার্কেট স্লো থাকবে, আমরা বন্ড মার্কেটের দিকে যেতে পারব। আবার বন্ড মার্কেট যখন স্লো থাকবে তখন আমরা ইকুইটি মার্কেটে যেতে পারব। অর্থাৎ আমাদের জন্য অনেক অপশন তৈরি হয়ে যাবে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মো. আব্দুল হালিম। আর সভাপতিত্ব করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান।

রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, আমরা সবাই টেকনোলজির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছি। অনেকে হয়তো বুঝিতে পারি না। একটা সময় ছিল আমারা ক্যাসেট প্লেয়ার ব্যবহার করতাম। সেটা কিছুদিন পরে সিডিটে কনভার্ট হলো। এর পর আসলো পেন ড্রাইভ। আবার আমরা আগে ব্যবহার করতাম ক্যামেরা। তার সাথে ফুজি। তারপর আসলো ডিজিটাল ক্যামেরা। কিন্তু বর্তমানে আমরা সেটাও ভুলতে বসেছি শুধু একটা মাত্র যন্ত্র, আর সেটা হচ্ছে একটা মোবাইল ফোন। এই মোবাইলে এমন এক টেকনোলজি আসলো, যেটা ভিডিও প্লেয়ারকে শেষ করে দিল, কলমকে শেষ করে দিল, আমাদের এই ক্যাসেট প্লেয়ারকে শেষ করে দিল। সব কিছু একটা জিনিসের মধ্যে চলে আসল। এবং কত সহজ হয়ে গেল আমাদের কাজ গুলো। এই টেকনোলজিতে যে এডভান্সমেন্ট, সেটা কিন্তু আমাদের জন্য অত্যান্ত সুখকর একটা বিষয় হয়ে আসল।

তিনি বলেন, একই ভাবে কিন্তু আমাদের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ একই পথে হেটেছে। অর্থাৎ ১৯৯৮ এর আগে আমরা কাগজের শেয়ারে ট্রেড করতাম। এবং বাই সেল বাই সেল (অকশান মত) করে আমরা ট্রেডগুলো অপারেটর করতাম। কিন্তু ১৯৯৮ থেকে একটা আলটিমেটলি অটোমেটিক ট্রেডিং সিস্টেমে আসল। এবং ২০০৪ এ যখন সিডিবিএল হলো, তখন কিন্তু আমরা কাগজের শেয়ার আর দেখলাম না। তখন আমাদের মধ্যে একটা ভয় ছিল, আমাদের হাতের সামনে যে শেয়ার দেখতে পাচ্ছি, সে শেয়ারটা আলটিমেটলি কোথায় যাবে। এখন কিন্তু আমরা শুধুমাত্র একটা রিপোর্ট দেখতে পাই, সেটার সাথেও কিন্তু আমরা সবটা খাপ খাইয়ে নিয়েছি। অতএব আমরা কিন্তু টেকনোলজির সাথে একসাথেই এগোচ্ছি।

ডিবিএ সভাপতি বলেন, এরপরে ডিএসই আরও নতুন নতুন সফটওয়্যারের আবির্ভাব ঘটাল। এবং ধারাবাহিক ভাবে আমরা আপডেট হতে থাকলাম এই টেকনোলজির সাথে। কিন্তু ২০২০ সালে যখন করোনার পাদুর্ভাব হলো, তখন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ তিন মাসের জন্য ট্রেড বন্ধ করে দিল। তখন আমরা প্রথমবারের মত ফিল করলাম যে, আমাদের এডজাস্টমেন্ট যতটুকু হওয়া উচিত ছিল ততোটুকু কিন্তু হয়নি।

এর পরে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপে গ্রহণ করেছি যাতে করে আর কোনোদিন ট্রেডিং বন্ধ না হয়। এবং আমরা সেই প্রসেসর দিকে এগোচ্ছি।

তিনি বলেন, সামনের দিকে যে টেকনোলজি গুলো আসবে, সেগুলো যদি এডাপ্ট করতে হবে এবং মার্কেটে যদি টিকে থাকতে হয়, তাহলে আমাদের ব্রোকার্স হাউজগুলোর ফাইনান্সিয়ালি আরও ইনভলভ বাড়াতে হবে এবং ফাইনান্সিয়ালি সলভমেন্ট হতে হবে। একই সাথে দক্ষ জনবলেরও কিন্তু প্রচুর প্রয়োজন রয়েছে। ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে টেকনোলজি ব্যবহার করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। আর সেটা ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে হোক বা বাইরে থেকে রিক্রুয়েটের মাধ্যমেই হোক।

ইনভেস্টোরদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের জন্যও কিন্তু টেকনোলজি একটা বিরাট পার্ট। মাননীয় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী কিন্তু আমাদের বলেছেন, সামনে যে দিন আসছে বা এখন যে দিন চলছে সেখানে কিন্তু আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সি আপনাকে বলে দিতে পারে যে আপনি ইনভেস্টমেন্ট কোথায় করবেন। আমাদেরও কিন্তু এই টেকনোলজি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে হবে।

ডিবিএর সভাপতি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ড কিছুদিন আগে ঘোষণা করেছে যে তারা একটা প্লাটফর্মের আন্ডারে তাদের সকল মিউচুয়াল ফান্ড গুলোর যতগুলো ডাটা আছে সেই ডাটা গুলো প্রভাইড করবে। আপনারা যদি সেগুলো সাথেই রিলেটেড থাকেন তাহলে আপনারা তথ্য গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া যতগুলো কোম্পানি রয়েছে সেখান থেকে তাদের তথ্যগুলো সংগ্রহ করে আপনারা আপনাদের ব্যবসায় ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও শেয়ারবাজের কিন্তু বেশ কিছু সফটওয়্যার রয়েছে সেগুলো বিভিন্ন টার্নওভার করে আপনাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়। সেগুলো কিন্তু আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন।

তাই সবাইকেই এই টেকনোলজি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে বলে জানান রিচার্ড ডি রোজারিও। তিনি বলেন, এটা সকলেরই প্রয়োজন। তাই এটাকে আমরা যত বেশি অনুধাবন করতে পারব যত বেশি ব্যবহার করতে পারব, টেকনোলজিকে যত সার্থক ভাবে ব্যবহার করতে পারব ততো সুন্দরভাবে আমরা গুনগত মান বৃদ্ধি করে ব্যবসায়ীক লাভ গুলোও ঘরে তুলতে পারব।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ