ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল ওষুধ খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ১১৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকার শীর্ষে ছিল কোম্পানিটির শেয়ার। গতকাল কোম্পানিটির ৮৩ লাখ ৭০ হাজার ৪২০টি শেয়ার ১৪০ টাকা থেকে ১৪৪ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ১০ হাজার ৯৫ বার হাতবদল হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে কোনো কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক হারে কোম্পানিটির শেয়ারদর ও লেনদেন বাড়ছে।
ডিএসইতে গতকাল ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১৪১ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৭৭ টাকা ৬০ পয়সা ও ১৫৬ টাকা ৫০ পয়সা।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৯৮ পয়সা। সে হিসাবে প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস বেড়েছে ৯ পয়সা বা ৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। অন্যদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৯৫ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২২ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮১ টাকা ৯৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৮ টাকা ৭৮ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ১ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৮৪ পয়সা। ৩০ জুন শেষে সঞ্চিতি পুনর্মূল্যায়নসহ সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৭৯ টাকা ৭৬ পয়সা। পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া যা ৭১ টাকা ৭৯ পয়সা।
২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওরিয়ন ফার্মার অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২৩৪ কোটি টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৮৩১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৪০ লাখ। এর মধ্যে ৩১ দশমিক ৯৮ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ১ দশমিক ২০ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৩৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।