ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহেও মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪২.৯২ পয়েন্ট। এদিকে সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬.০৭ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৮৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৯৮৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ২৪২ কোটি ৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকার বা ৬.০৭ শতাংশ লেনদেন কমেছে।
ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ১৪২ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ০৯ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৬৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচিত সপ্তাহে বাজারমূলধনের শীর্ষ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫২ দশমিক ০৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ০৭ শতাংশ কমে ২ হাজার ৪৬২ পয়েন্টে নেমেছে।
অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩৩.৭৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২.২৯ শতাংশ কমেছে।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫টির, কমেছে ৩১৯টির। আর ১২টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।
অন্যদিকে ডিএসইতে বাজার মূলধনেও নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ১১ হাজার ৯২৮ কোটি ৫৬ লাখ ১৪ হাজার ৩৭২ টাকা বা ২ দশমিক ১৭ শতাংশ বাজার মূলধন কমেছে।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫৫ লাখ ৩ হাজার ৫৫৯ কোটি ৮০ লাখ ৭ হাজার ৯০৬ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫৩ লাখ ৮৪ হাজার ২৭৪ কোটি ১৯ লাখ ৩ হাজার ৫৩৪ টাকায়।