গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি এপেক্স ফুডস লিমিটেড । আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩০ দশমিক ৫৪ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ১৪ লাখ ৫১ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০ কোটি ৭২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ বা ১৪ টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৩২ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর ২১৩ টাকা থেকে ২৩৫ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। দিনজুড়ে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪৩টি শেয়ার মোট ২ হাজার ৩৩০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১১৬ টাকা থেকে ২৩৫ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১৯ টাকা ৩৯ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৮১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৫৭ লাখ ২ হাজার ৪০০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৫৩ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৩ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ১০ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২১) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭০ পয়সা। এ ছাড়া ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১৭ টাকা ৯৫ পয়সা, যা ২০২১ সালের ৩০ জুন ছিল ১১৯ টাকা ৩৯ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৫৮ পয়সা; অথচ আগের বছর একই সময়ে ছিল ২০ টাকা ৪০ পয়সা।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্টাইলক্রাফট লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৭ দশমিক ০২ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২ কোটি ৫২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে তমিজউদ্দীন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৬৯ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৮ কোটি ৪৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ ল্যাম্পস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৬ লাখ ৫৫ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০ কোটি ৩২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
পঞ্চম অবস্থানে থাকা শমরিতা হসপিটাল লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৮৫ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৯ কোটি ৬৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
আরামিট সিমেন্ট লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে, এপেক্স ট্যানারি লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, রহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ, এমবি ফার্মা লিমিটেডের ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং বিডি অটোকারস লিমিটেডের ১১ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।