শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে শেয়ার ও বন্ডে ৭১৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে বলে আর্থিক হিসাবে উল্লেখ করলেও তার প্রমাণ পায়নি নিরীক্ষক। এছাড়া অগ্রিম হিসেবে ২৯০ কোটি ১১ লাখ টাকা প্রদানের বিষয়েও কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যে অর্থ কাগজে বিনিয়োগ ও অগ্রিম দেখিয়ে হাঁতিয়ে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ফারইস্ট লাইফের শেয়ার ও বন্ডে ৭১৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বিনিয়োগের পর্যাপ্ত প্রমাণাদি পাওয়া যায়নি। যে বিনিয়োগ আগের বছরগুলোতে বিভিন্ন কোম্পানি ও পৃথকভাবে করা হয়েছে। যা ফারইস্ট লাইফের কোন সুবিধা বয়ে আনেনি।
এরমধ্যে আবার বাংলালায়ন কমিউনিকেশনসে ৯৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ও পিএফআই সিকিউরিটিজে ১৮৫ কোটি ৩১ লাখ টাকার বন্ডে বিনিয়োগের আদায়যোগ্য অর্থ উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। কিন্তু ফারইস্ট কর্তৃপক্ষ ইমপেয়ারম্যান্ট করে লোকসান দেখায়নি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
ফারইস্ট লাইফ কর্তৃপক্ষের ২৯০ কোটি ১১ লাখ টাকার অ্যাডভান্স, ডিপোজিট ও প্রিপেমেন্টস এর প্রমানাদি পায়নি নিরীক্ষক। এরমধ্যে নির্মাণ, জমি ও জমি উন্নয়নের (কনস্ট্রাকশন, ল্যান্ড অ্যান্ড ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) জন্য অগ্রিম (অ্যাডভান্স) প্রদান রয়েছে। তবে অন্যান্য অগ্রিমবাবদ ১২২ কোটি ২৫ লাখ টাকা প্রদানের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি নিরীক্ষক। এছাড়া নির্মাণ, জমি ও জমি উন্নয়নবাবদ ২০১৮ সালে অগ্রিম প্রদানের উদ্দেশ্য যাচাই করতে পারেনি।
আর্থিক হিসাবে জমি ও জমি উন্নয়নবাবদ দেখানো ১০৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকার পর্যাপ্ত প্রমাণাদি পায়নি নিরীক্ষক। যে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ পূণঃমূল্যায়নে বর্ধিত বা সারপ্লাসের উপরে অবচয় চার্জ না করে হিসাব মান লঙ্ঘন করেছে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৭৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদদের মালিকানা ৭৫.৫০ শতাংশ। কোম্পানিটির সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ৫০ টাকায়।