দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও ব্যবসায় ডুবতে থাকা জাহিন স্পিনিংয়ে স্থায়ী সম্পদ ক্রয়ে আয়কর অধ্যাদেশের লঙ্ঘন খুজেঁ পেয়েছে নিরীক্ষক। এছাড়া ক্রয়ের প্রমাণাদি না থাকার কারনে গুরুতর অনিয়ম হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করেছে নিরীক্ষক।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, জাহিন স্পিনিং কর্তৃপক্ষ ২০২০-২১ অর্থবছরে স্থায়ী সম্পদ প্রপার্টি প্লান্ট অ্যান্ড ইক্যুপমেন্ট ক্রয় দেখিয়েছে ৬ কোটি ১ লাখ টাকার। এরমধ্যে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা দেনাদারের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। বাকি টাকা নগদে পরিশোধ করা হয়েছে। যা আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ৩০(এম) এর লঙ্ঘন।
এদিকে ওই কেনা সম্পদের বিষয়ে নিরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণাদি পাননি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। যেখানে ওই সম্পদ নিয়ে আর্থিক হিসাবে ভুল তথ্য দেওয়া হতে পারে। যা গুরতরও হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া জাহিন স্পিনিংয়ের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১১৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৮.৯০ শতাংশ। কোম্পানিটির সোমবার (০৬ ডিসেম্বর) লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ৮.৪০ টাকায়।