ভালো ব্যবসা দেখিয়ে শেয়ারবাজারে উচ্চ দরে শেয়ার ইস্যু করে ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ। তবে এখন সেই কোম্পানিকে শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ারপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ দিতে গিয়েই রিজার্ভ ব্যবহার করতে হচ্ছে।
কোম্পানিটি ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে আসে। ওইসময় প্রতিটি শেয়ার ২৭ টাকা করে ইস্যু করে। এতে প্রতিটি শেয়ারে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১৭ টাকা। কিন্তু সেই কোম্পানি সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরের ব্যবসায় মাত্র ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। যা ইস্যু মূল্য বিবেচনায় ৪ শতাংশেরও কম বা ৩.৭০ শতাংশ।
ফারইস্ট নিটিংয়ের সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ০.৭৯ টাকা হিসেবে ১৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। তবে কোম্পানিটির পর্ষদ ১০ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা হিসাবে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এক্ষেত্রে মুনাফার অতিরিক্ত ৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা রিজার্ভ থেকে দেওয়া হবে।
ফারইস্ট নিটিং থেকে তালিকাভুক্তির প্রথম বছর বা ২০১৪ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা হয়। এরপরে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে কমিয়ে ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হয়। যা এরপরে ধারাবাহিকভাবে কমে ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ, ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ ও ২০২০ সালে ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়।
কোম্পানিটির আইপিও পূর্ব ২০১২-১৩ অর্থবছরের ২.৫৪ টাকার শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে নেমে এসেছে ০.৭৯ টাকায়। ৮ বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ১.৬০ টাকা বা ৬৩ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ২১৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের ফারইস্ট নিটিংয়ে ১৫৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে। এ কোম্পানিটির শনিবার (০৯ অক্টোবর) শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১৭.৯০ টাকা।