‘ওয়ালটন এক বিস্ময়। এতদিন বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে শুধু পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে সবাই চিনতো। তবে সে পরিচয় থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে এসেছে। এখন বাংলাদেশে তৈরি উচ্চ প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে। কারখানা পরিদর্শনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা যেমন আরও বাড়বে, তেমনই উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সাংবাদিকদের সুসম্পর্কও গড়ে উঠবে।’ ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পরিদর্শন শেষে সিএমজেএফের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল এ কথা বলেন।
‘ওয়ালটন কল্পনার চেয়েও অনেক বড় প্রতিষ্ঠান। ওয়ালটন এক বিস্ময়। এ প্রতিষ্ঠানের করপোরেট কালচার অনেক সুন্দর। ওয়ালটনের মতো এত বড় দেশীয় প্রতিষ্ঠান আরও কয়েকটি গড়ে উঠলে বাংলাদেশ অতি দ্রুত উন্নত দেশে পরিণত হবে।’
রবিবার (মার্চ ২৮) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন শেয়ারবাজার বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) নেতারা।
সকালে ওয়ালটন কারাখানা পরিদর্শন করেন সিএমজেএফের ৪০ সদস্যের প্রতিনিধিদল। তাদের মধ্যে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সংগঠনের অন্যান্য সদস্য ও ইকোনমিক রিপোর্টারস ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি শারমিন রিনভী। উদ্দেশ্য ছিল—শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স, আইসিটি ডিভাইস ও এক্সেসরিজের মতো উচ্চ প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন শিল্পের দ্রুত অগ্রগতি সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান ও ধারণা অর্জন করা।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শনে আসা সাংবাদিকরা প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার-সমৃদ্ধ এসি দেখেন।
সিএমজেএফের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, ‘ওয়ালটন কল্পনার চেয়েও অনেক বড়। ওয়ালটন ফ্যাক্টরি এত বড়, যা এক দিনে দেখে শেষ করা যাবে না। ওয়ালটনের করপোরেট কালচারও খুব সুন্দর।‘ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে ওয়ালটন অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
ইআরএফের সভাপতি শারমিন রিনভী বলেন, ‘ওয়ালটনের মতো এত বড় ও সুন্দর আরও কয়েকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে বাংলাদেশ দ্রুতই উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাবে।’
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শনে সময় প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি রেফ্রিজারেটর দেখেন সিএমজেএফের নেতারা।
অতিথিরা সকালে কারখানায় পৌঁছলে তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। সে সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর ও আলমগীর আলম সরকার, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম, ইউসুফ আলী, তোফায়েল আহমেদ, ইয়াসির আল ইমরান, কোম্পানি সচিব পার্থ প্রতীম দাশ, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস, ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মোহসিন আলী মোল্লা, সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অগাস্টিন সুজন প্রমুখ।
কারখানা প্রাঙ্গণে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন। তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার পরিদর্শন করেন। এরপর সাংবাদিকরা রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, কম্প্রেসর, মোল্ড-ডাই ইত্যাদি উৎপাদন ইউনিটসহ বিভিন্ন পণ্যের গবেষণা ও উন্নয়ন সরেজমিন দেখেন।