আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পুঁজিবাজার। বুধবার বিএসই সেনসেক্স এবং এনএসই নিফটি উভয়ের সূচক এদিন রীতিমতো বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রযুক্তিগত কারণে কিছুক্ষণ ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকলেও পরে তা আবার চালু হয়। এদিন একসময় নিফটি ৫০ সূচক ৩০১ পয়েন্ট উঠে গিয়ে পৌঁছে গিয়েছিল ১৫০০৯ পয়েন্টে। অন্যদিকে সেনসেক্স একসময় ১১৩০ পয়েন্ট উঠে ৫০,৮৮১ পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছিল। দিনের শেষে অবশ্য সেনসেক্স ১০৩০ পয়েন্ট উঠে অবস্থান করছে ৫০,৭৮২ পয়েন্টে এবং নিফটি ২৭৪ পয়েন্ট উঠে অবস্থান করছে ১৪,৯৮২ পয়েন্টে।
দেশটির বেসরকারি ব্যাংকের শেয়ারের দাম এদিন রীতিমতো বৃদ্ধি পেয়েছে যার ফলে নিফটি প্রাইভেট ব্যাংক ইন্ডেক্স ৪ শতাংশ বেড়েছে। তার কারণ হলো কেন্দ্র বুধবার বেসরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারি লেনদেনের যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল তা তুলে নিল। সরকারি সংক্রান্ত ব্যাংকিং লেনদেনের মধ্যে পড়ছে কর এবং রাজস্ব পেমেন্ট ফেসিলিটি, পেনশন পেমেন্ট এবং ক্ষুদ্র সঞ্চয় ইত্যাদি।
এছাড়া নিফটি ব্যাংক, ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিএসইউ ব্যাংক মিডিয়া এবং মেটাল সূচক বেড়েছে ১-৩.৬ শতাংশের মতো। তবে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে সূচক এদিন নিচে নেমে যাওয়ার ক্ষেত্রে একেবারে শীর্ষে রয়েছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলির মধ্যে এইচডিএফসি ব্যাংক ৫ শতাংশ বেড়েছে। এর পাশাপাশি অ্যাক্সিস ব্যাংক ফেডারেল ব্যাংক আর বি এল ব্যাংক, আইসিআইসিআই ব্যাংক এবং আইডিএফসি ফাস্ট ব্যাংকের বৃদ্ধি হয়েছে ৩.৫-৪.৫ শতাংশ। মিডক্যাপ এবং স্মল ক্যাপ শেয়ার কেনার আগ্রহ দেখা গিয়েছে ফলে নিফটি মিডক্যাপ ১০০ এবং স্মল ক্যাপ ১০০ সূচক দুটি এক শতাংশের বেশি বৃদ্ধি হয়েছে।
যদিও চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সোমবার দিনটা একেবারেই ভাল যায়নি পুঁজিবাজারের পক্ষে। সোমবার বড় ধস নামে শেয়ার সূচকে যার ফলে সেনসেক্স তিন সপ্তাহের সর্বনিম্ন পয়েন্টে নেমে এসেছিল। বিশ্বের শেয়ারবাজারের দুর্বল অবস্থা ও বন্ডের ইল্ড বৃদ্ধির পাশপাশি ফের করোনা ঘিরে লক ডাউনের আতঙ্ক দানা বাধায় সেদিন শেয়ারবাজারকে টেনে নামাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছিল। এমনই দশা হয়েছিল সোমবার যে সূচক গত দু’মাসে দিনের মধ্যে এতটা পতন আর ঘটেনি- যার ফলে এক সময় সেনসেক্স ওইদিন ১২৬২ পয়েন্ট এবং নিফটি ৩৪৫ পয়েন্ট নেমেছিল। সেই তুলনায় মঙ্গলবার অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয় যদিও দিনভর অস্থিরতা ছিল। তারপরে অবশ্য বুধবারে শেয়ার সূচককে লাফিয়ে বাড়তে দেখা গেল।
সূত্র : বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ইকোনমিকস টাইমস.