দীর্ঘ সময় ধরে দেশের শেয়ারবাজার ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বিশেষ করে ২০১০ সালের পর গত ১৪ বছর বাংলাদেশ শেয়ারবাজারে সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসঙ্গতি থাকার কারণে শেয়ারবাজারের আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। শেয়ারবাজার হারিয়েছে লক্ষ কোটি টাকার বেশি মুলধন। পথে বসেছে হাজার হাজার বিনিয়োগকারী।
এই সময়ে শেয়ারবাজারের নেতৃত্বে যারা ছিলেন তারা আসলে নিজেদের পকেট এবং নিজেদের স্বার্থের দিকেই বেশি তাকিয়েছেন। বিনিয়োগকারীদের আস্থা তারা কোনভাবেই অর্জন করতে পারেননি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) শেয়ারবাজার সংক্রান্ত বিনিয়োগকারীদের কয়েকটি ফেসবুক পেজে এমন অভিযোগ ভেসে বেড়াচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, দেশের শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের একটা আস্থা ও প্রত্যাশার জায়গা। কিন্তু শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) বেসামরিক পর্যায়ের যারাই এসেছেন, কেউ শেয়ারবাজারের ভাবমূর্তি ও মর্যাদাকে এগিয়ে নিতে পারেননি। বরং শেয়ারবাজারের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা কলুষিত করেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারকে শিল্পায়নে মূলধন আহরণের স্থায়ী উৎস তৈরি করা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গায় রূপান্তরিত করার জন্য শেয়ারবাজারের নেতৃত্বে সেনা কর্মকর্তাদের চান বিনিয়োগকারীরা। তাদের মতে, বিরাজমান পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র শীর্ষপদে সেনা কর্মকর্তাদের কোন বিকল্প নেই।
তাদের দাবি, অন্তবর্তী সরকার যেহেতু রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে সংস্কার করছে এবং সংস্কারের কোন বিকল্পও নেই, সেখানে শেয়ারবাজারের সংস্কারও অতীব জরুরী। অন্তবর্তী সরকারের হাতেই শেয়ারবাজারের সংস্কার আসা প্রয়োজন।
ফেসবুক গ্রুপগুলোর মধ্যে ‘Share Discussion Group’, ‘Share Market Profit Club’, ‘DSE & CSE profit Club’, ‘Public Business Club’, ‘Stock Market Toady’ অন্যতম।
গ্রুপগুলোর মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন বিনিয়োগকারী আবদুর রহমান, শাহাদাৎ মাসুম, সাদ্দাম হোসেন, আল-আমীন, আশরাফুল ইসলামসহ অসংখ্য বিনিয়োগকারী। তারা শেয়ারবাজারের নেতৃত্বে সেনা কর্মকর্তাদের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন রকম মতামত তুলে ধরেন।
আলোচনার পর্যায়ে কয়েকজন বিনিয়োগকারী বিএসইসির নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজের নাম তুলে ধরেন। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, তিনি ২০০৭-৮ সাল থেকে শেয়ারবাজারের সাথে সম্পৃক্ত এবং শেয়ারবাজার মার্কেট ভালো বুঝেন।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, তাঁর মত একজন বিচক্ষণ, অভিজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান, দেশপ্রেমিক এবং দায়িত্বশীল সেনা কর্মকর্তরার শেয়ারবাজারের দায়িত্বে আসলে শেয়ারবাজারের প্রভূত উন্নতি হবে।
বিনিয়োগকারী আবদুর রহমান জানান, তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম-তাজকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন। তিনি একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও বিচক্ষণ কর্মকর্তা। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-এ (বিইউবি) কর্মরত রয়েছেন বলে আবদুর রহমান জানান।
তবে আলোচিত কর্মকর্তা আদৌ শেয়ারবাজার প্রশাসনে আসেতে চান কিনা, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
বিনিয়োগকারী আশরাফুল ইসলামের দেওয়ালেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজের ছবি।