সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের সামান্য উত্থান হয়েছে। একই সঙ্গে গত ৩৫ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। এদিন ডিএসইতে ৮০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে মঙ্গলবার বিরাট লেনদেন হয়েছে। এদিন স্টক এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি টাকার বেশি। যা গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এদিন উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সব সূচক এবং লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দামও বেড়েছে।
গত তিন মাসের দরপতনের বিপরীতে এমন উত্থান বিশেষ কিছু মনে না হলেও বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়ক হতে পারে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
ঈদের আগে ধারাবাহিক দরপতনে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে যায় ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকার মতো। ঈদের পরে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিলেন সবাই। তবে ঈদের পর ১২ কর্মদিবসের মধ্যে গতকালসহ মাত্র ৩ কর্মদিবস উত্থান হয়েছে।
চরম হতাশার মধ্যে বিনিয়োগকারীদের আশাবাদী ছিল চলতি সপ্তাহে বাজারে বড় উত্থান দেখা যাবে। প্রথম কর্মদিবস বিএসইসির চেয়ারম্যানের পুনর্নিয়োগ পাওয়ার প্রজ্ঞাপনের খবরে উত্থানও হয়েছে। এদিন ডিএসইতে সূচক বেড়েছে ৯৭ পয়েন্ট। কিন্তু পরের দিন সোমবার আবার দরপতন হয়। এদিন গেইন ট্যাক্স আরোপের গুজবে বড় পতন দেখা যায়।
এমন পরিস্থিতিতে গতকাল মঙ্গলবার লেনদেন শেষে ১৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এর মধ্যেও ৯টির দাম এক দিনে যতটা বাড়া সম্ভব, ততটাই বেড়েছে। এতে সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৮৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
ফলে ঈদের ছুটিতে যাওয়ার সময় ও সূচকের বর্তমান অবস্থানের পার্থক্য দাঁড়াল ২৭৯ পয়েন্ট। অর্থাৎ ঈদের পরের উত্থান যোগ করার পরও সূচকে ওই পরিমাণ ঘাটতি রয়েছে।
এদিকে সূচক বাড়ার সঙ্গে লেনদেন বেড়ে দিনভর হাতবদল হয়েছে ৮৩৫ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট, যা আগের দিনে ছিল ৬৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৭২ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
তবে চলতি বছরে গতকালের চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল গত ৫ মার্চে, ৩৪ কর্মদিবস আগে। ওই দিন শেয়ারবাজারে ৮৪৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল।