এক বছর বা ৫২ সপ্তাহ আগে ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল তারিখে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ছিল ৬ হাজার ২২৮ পয়েন্ট। গত এক বছরে সূচকে অনেক নতুন শেয়ার যোগ হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, বেস্ট হোল্ডিং, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ, সিকদার ইন্সুরেন্স।
সূচকে এসব কোম্পানির শেয়ার যোগ হওয়ার পরও এক বছর বা ৫২ সপ্তাহ পর ২০২৪ সালের ১৮ এপ্রিল তারিখে ডিএসইর প্রধান সূচক নেমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৮৬ পয়েন্টে। এক বছরের ব্যবধানে ডিএসই সূচক হারিয়েছে ৫৪২ পয়েন্ট। অর্থাৎ নতুন শেয়ার সূচকে যোগ হওয়ার পরও ডিএসইর সূচক খোয়া গেছে ৫৪২ পয়েন্ট।
স্টকনাও সূ্ত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে বা ৫২ সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ১০৩টি কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে সর্বনিম্ন দামে লেনদেন হচ্ছে।
অন্যদিকে, আলোচ্য সময়ে মাত্র তিনটি কোম্পানির শেয়ার সর্বোচ্চ দামে লেনদেন হচ্ছে। যেগুলো হলো-আলিফ ইন্ডাষ্ট্রিজ, সিটি জেনারেল ইন্সুরেন্স ও লাভেলো আইসক্রীম।
৫২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ দাম হারিয়ে লেনদেন হচ্ছে সী পাল বীচ রিসোর্ট, জেমিনি সী ফুড, জিএসপি ফাইন্যান্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, মেট্রো স্পিনিং, আমরা নেট, রিং শাইন টেক্সটাইল, ফনিক্স ফাইন্যান্স, বে-লিজিং ও বিডি ফাইন্যান্স। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম হারিয়েছে ৫০ শতাংশ থেকে ৭১ শতাংশের বেশি।
তবে কোম্পানিগুলোর মধ্যে জেমিনি সী ফুড বোনাস শেয়ার ইস্যু করার কারণে এবং আমরা নেটওয়ার্ক রাইট শেয়ার ইস্যু করার কারণে দাম সংশোধেন হয়েছে। সেই হিসাবে এই দুই কোম্পানির শেয়ার দাম ৫২ সপ্তাহের মধ্যে পতনের শীর্ষ কোম্পানির তালিকায় বিবেচনা করা যায় না।
এছাড়া, ৫২ সপ্তাহের মধ্যে ৫০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমেছে আরও ২২টি কোম্পানির শেয়ার। যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রাইম ইন্সুরেন্স, এমএল ডাইং, ফরচুন সুজ, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, ম্যাকসন্স স্পিনিং, এনআরবিসি ব্যাংক।
অন্যদিকে, ৫২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে মৌলভিত্তির শেয়ার হিসাবে পরিচিত বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো, ওয়ালটন হাইটেক, রেনেটা ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ারের শেয়ার রয়েছে। যেগুলোর দাম এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ৩৬ শতাংশের বেশি।