পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি রানার অটোমোবাইলস পিএলসির উদ্যোক্তা পরিচালক মোহাম্মদ আলী দীন কোম্পানিটির এক লাখ ২০ হাজার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। তার কাছে বর্তমানে কোম্পানিটির মোট ২৫ লাখ ২০ হাজার শেয়ার রয়েছে, যা থেকে ঘোষণাকৃত শেয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইর পাবলিক অথবা ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে বিদ্যমান বাজারদরে বিক্রি করবেন এ উদ্যোক্তা পরিচালক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ বা এক টাকা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৫ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১৯ হাজার ৯৭৬টি শেয়ার মোট ৫৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ৩৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৩৭ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩৩ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৪৮ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩২ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪১ দশমিক ২৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৫ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৭৫ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬২ টাকা ৬২ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩৮ টাকা ৩২ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা ৫০ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৭২ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা আট পয়সা (লোকসান)। চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২২ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৮৯ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি লোকসান ৬৭ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ৪১ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৬২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ১৫ টাকা ৮৬ পয়সা ছিল।