তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সিকিউরিটিজ আইনের বিভিন্ন কমপ্লায়েন্সের স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সমন্বিত অনলাইন ডাটা সংগ্রহ, যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত জমা, মূল্যসংবেদনশীল তথ্য, আর্থিক হিসাব সরাসরি প্রদানের জন্য একটি অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরি করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। গতকাল এ প্লাটফর্মের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সহজে নির্ভুলভাবে তথ্য জমা দেয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি তথ্য প্রকাশে অনিয়ম হলে সহজেই সেটি ধরা পড়বে।
ডিএসইর স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেমটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এক্সচেঞ্জটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) প্রেসিডেন্ট রুপালী হক চৌধুরী এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম। এছাড়া অন্যদের মধ্যে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান ও প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (সিআরও) খাইরুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবে স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম চালু হওয়ায় পুঁজিবাজার আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেমের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো এখন থেকে সহজে নির্ভুল তথ্য প্রকাশ করতে পারবে। এতদিন কোম্পানির বিভিন্ন তথ্য ম্যানুয়ালি সাবমিশন করা হতো। ফলে অনিচ্ছাকৃত ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকত। এ সফটওয়্যার চালু হওয়ার ফলে সমস্যার সমাধান হবে। আর এর ফলে কমপ্লায়েন্স পরিপালন করা সহজ হবে। তথ্য প্রকাশে কেউ কোনো অনিয়ম করলে তা সহজেই চিহ্নিত করা যাবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিএপিএলসির প্রেসিডেন্ট রুপালী হক চৌধুরী বলেন, ‘অনলাইনে তথ্য জমা দেয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় এখন থেকে সময় অনেক বেঁচে যাবে। এতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর তথ্য দ্রুততম সময়ে সবার কাছে পৌঁছানো যাবে। তবে সিস্টেমে সমস্যা হলে তা সঙ্গে সঙ্গে সমাধানের ব্যবস্থা থাকতে হবে। যাতে সমস্যা হওয়ার কারণে সিস্টেমের কাজ বন্ধ না হয়ে যায়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শেয়ারবাজারের উন্নয়নে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর তথ্য কোনোভাবে যাতে ভুল প্রকাশ না হয় এবং বাদ না যায় সে বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। কেউ যেন ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাজার থেকে অনৈতিক মুনাফা করতে না পারে এবং ক্ষতি করতে না পারে সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের চারটি উপাদানের মধ্যে একটি হলো স্মার্ট ইকোনমি। আর স্মার্ট ইকোনমির দুটি সেক্টর হচ্ছে ক্যাপিটাল মার্কেট ও মানি মার্কেট। আজকের এ বিষয় শুধু প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য পূরণ নয়, এটি স্মার্ট পুঁজিবাজার তৈরির অংশ হিসেবে কাজ করবে। অন্যান্য দেশে পুঁজিবাজার অর্থনীতিতে অনেক ভূমিকা রাখলেও বাংলাদেশে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা হয় না। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে পুঁজিবাজারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।