দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২১টি কোম্পানির মধ্যে এই পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ১৭টি কোম্পানি। এরমধ্যে মুনাফায় অগ্রগতি হয়েছে ৬টির। যেগুলোর মধ্যে ৫টি কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে এবং ১টির লোকসান কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
মুনাফায় অগ্রগতি হওয়া ৬টি কোম্পানি হলো- বঙ্গজ লিমিটেড, ফাইন ফুডস, জেমিনি সী ফুড, তাওফিকা ফুডস, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক এবং আরডি ফুড লিমিটেড।
বঙ্গজ লিমিটেড
চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ০৭ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১২ পয়সা।
ফাইন ফুডস
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল প্রায় শুন্য পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল প্রায় ০২ পয়সা।
জেমিনি সি ফুড
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ০১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৭২ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৬০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪ টাকা ০৬ পয়সা।
তাওফিকা ফুডস
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৭ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭৩ পয়সা।
মেঘনা কনডেন্সড
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৪৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৫৭ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৯৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১ টাকা ১৬ পয়সা।
আরডি ফুড
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৮ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭৫ পয়সা।
এদিকে, খাদ্য খাতের ৪টি কোম্পানি এখন পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। কোম্পানিগুলো হলো- বিএটিবিসি, বীচ হ্যাচারী, এমারেল্ড অয়েল এবং ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড।
এরমধ্যে বিএটিবিসি ও ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার ডিসেম্বর ক্লোজিং কোম্পানি বিধায় কোম্পানি দুটি ডিভিডেন্ড ঘোষণার প্রস্তুতিতে রয়েছে।
অন্যদিকে, মেঘনা পেটের লোকসান অপরিবর্তিত রয়েছে। কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে প্রায় সাড়ে ০৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়েও লোকসান ছিল প্রায় সাড়ে ০৫ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ০১ পয়সার বেশি। আগের বছরও একই সময়ে লোকসান ছিল ০১ পয়সার বেশি।