২০২২ সালের ২৫সেপ্টেম্বর দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছিল ১৮১০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। তারপর ধারাবাহিকভাবে লেনদেন তলানিতে নেমে যায়। এক সময়ে লেনদেন ২৫০ টাকার ঘরেও দেখা যায়।
চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন হয় ২৯২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর আগে গত বছরের ২৮ নভেম্বর ডিএসইর লেনদেন হয়েছিল ২৯৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।
দীর্ঘ ১৬ মাস পর দেশের শেয়ারবাজারে আজ রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন হয়েছে ১৫৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। লেনদেনের গতি যেন ঠিক আগের অবস্থানে ধাবিত হচ্ছে।
তবে ১৬ মাস আগে ডিএসইর সূচক ছিল ৬ হাজার ৫১৫ পয়েন্টে। আজ ডিএসইর সূচক উঠেছে ৬ হাজার ২৮০ পয়েন্টে। লেনদেনে অগ্রগতি হলেও সূচক এখনো অনেক নিচে।
তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারের গতি যদি এই রকম থাকে, তাহলে সূচক বাড়তে সময় লাগবে না। অল্প সময়ের মধ্যে শেয়ারবাজারের সূচক অবস্থানে দেখা যাবে।
রোববারের বাজার পর্যালোচনা
রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৬.৭৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৬৭৪ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস ৮.১৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে প্রায় ১ হাজার ৩৭১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭.৯২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১২৪ পয়েন্টে ।
রোববার ডিএসইতে ১ হাজার ৫৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১২২ কোটি ০৯ লাখ টাকা।
রোববার ডিএসইতে লেনদেন ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩২১টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ১৮ কোটি ৬১ লাখ ৯৪ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৭ কোটি ৯৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
রোববার সিএসইতে ২৯৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২২৬টির, কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি প্রতিষ্ঠানের।
আগের দিন সিএসইতে ২৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ১৭৭টির, কমেছিল ৬৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩০টি প্রতিষ্ঠানের।