1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
পুঁজিবাজারে মূল্যসূচকের ধস ঠেকাচ্ছে ৫ কোম্পানি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ অপরাহ্ন

পুঁজিবাজারে মূল্যসূচকের ধস ঠেকাচ্ছে ৫ কোম্পানি

  • পোস্ট হয়েছে : সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩

দেশের শেয়ারবাজারের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৬২০০ পয়েন্টের ঘরে গত সাড়ে চার মাস ধরে আটকে আছে। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ৬২১৫ দশমিক ৩০ পয়েন্টে। লেনদেন শেষের (ক্লোজিং ইনডেক্স) হিসাবে গত বছরের ১৪ নভেম্বর ৬৩০০ পয়েন্ট থেকে কমার পর প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর এ সূচকটি ওই মাইলফলক আর পার করতে পারেনি।

আর যাই হোক, কোনোভাবে শেয়ারদর ও সূচকের পতন হতে দেওয়া চলবে না– এমন নীতি নিয়ে তালিকাভুক্ত সব শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যসীমা বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়ার কারণে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। এতে নামিদামি প্রায় সব শেয়ারসহ তালিকাভুক্ত সিংহভাগ শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকায় অদূর ভবিষ্যতে সূচকের ওঠানামা সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ১৪ নভেম্বর থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত সময়ে ডিএসইএক্স সূচক ৬১৭৭ পয়েন্ট থেকে ৬২৯৬ পয়েন্টের মধ্যে ওঠানামা করেছে। এ সময়ে সূচক ওঠানামার ব্যবধান ছিল মাত্র ১১৮ পয়েন্ট। গত ২৬ জানুয়ারি সর্বোচ্চ ৬২৯৬ পয়েন্টে ওঠে এবং সর্বনিম্ন ৬১৭৭ পয়েন্টে নেমেছিল গত ২ জানুয়ারি।

অবশ্য দিনের লেনদেনের মাঝে শেয়ারদর ওঠানামা বিবেচনায় নিলে সূচকটি কয়েক দিন কিছু সময়ের জন্য ৬৩০০ পয়েন্টের মাইলফলক পার করেছিল। এ সময়ে সর্বোচ্চ ৬৩১৩ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে উঠেছিল গত ২৫ জানুয়ারি। সর্বনিম্ন ৬১৬৬ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে নেমেছিল ছিল গত ৩ জানুয়ারি।

বর্তমানে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত শেয়ার আছে ৩৫৪টি। এর মধ্যে ডিএসইএক্স সূচকে অন্তর্ভুক্ত আছে ৩১৬টি শেয়ার। এখন ডিএসইএক্স সূচকে অন্তর্ভুক্ত ২২৫টি শেয়ারই ফ্লোর প্রাইসে পড়ে আছে। সার্বিক হিসাবে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৫৪ শেয়ারের মধ্যে ফ্লোর প্রাইসে পড়ে আছে ২৫৪টি। এর বাইরে ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের সবগুলোও ফ্লোর প্রাইসে ছিল। অবশ্য সূচক গণনায় ফান্ডের দর ওঠানামা হিসাব হয় না।

গত বৃহস্পতিবার সর্বশেষ সূচকের অবস্থান ৬২১৫ পয়েন্টের মধ্যে সর্বাধিক ৪৬২ পয়েন্ট অধিকার করেছিল স্কয়ার ফার্মা। ২৮৮ পয়েন্ট অধিকার করে দ্বিতীয় অবস্থানে বিএটিবিসি। তৃতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের অংশ ছিল ২৬৩ পয়েন্ট। চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে থাকা রেনাটা এবং বেক্সিমকো ফার্মার অংশ ছিল যথাক্রমে ২৫৯ এবং ১৭৩ পয়েন্ট। অর্থাৎ সূচকে এ কোম্পানিগুলোর অবদান না থাকলে মূল্যসূচকে বড় ধস নামতে পারতো।

এই পাঁচ শেয়ারই মোট সূচকের সোয়া ২৩ শতাংশ ওজন বহন করছে। কিন্তু এর সবই ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। সূচকে শীর্ষ ৫০ শেয়ার মোট সূচকের সাড়ে ৬৩ শতাংশ ওজন বহন করে। অথচ এর ৩৫টির বাজারদরে কোনো ওঠানামা নেই। এর মধ্যে শুধু সী পার্লের শেয়ার ফ্লোর প্রাইসের তুলনায় সোয়া ৭ গুণ বেশি দরে কেনাবেচা হচ্ছে।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ