শেয়ারবাজারে ব্যাংক কোম্পানিগুলোর শেয়ার প্রতি আগ্রহ তলানির দিকে বিনিয়োগকারীদের। কুঋন সহ বিভিন্ন অনিয়ম বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকগুলোতে চলছে বেহাল দর্শা। বিনিয়োগকারীরা অনেকটা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায়, এখন ব্যাংক শেয়ারে নেই আগের মতো লেনদেন বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলেন, বিনিয়োগকারীদের কাছে অতীতে ব্যাংকের শেয়ার সবচেয়ে বেশি পছন্দের ছিল। সবাই ব্যাংকের শেয়ার প্রতি বিশেষ আগ্রহ নিয়ে লেনদেন করতো। দিন শেষে দেখা যেত, শুধু ব্যাংকের ওপরে ভর করে সূচকের বড় উত্থান হতো। লেনদেনও হাজার কোটি টাকার ওপরে থাকতো। যা মোট লেনদেনের ৪০ শতাংশই ছিল ব্যাংকের শেয়ার। কিন্তু বর্তমানে তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। এখন ব্যাংকের শেয়ার কিনতে অনেকেই ভয় পায়। কারন বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়েছে ব্যাংকগুলো। এর প্রভাবে ব্যাংকের শেয়ারে নেই আগের মতো লেনদেনের ওঠানামা। বছরজুড়ে একই জায়গায় পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। শেয়ার দর বৃদ্ধিতে গতি খুবই কম। কমাও নামমাত্র। এরই ধারায় অস্বাভাবিক হারে ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আগ্রহ কমেছে। ফলে শেয়ারবাজার হারাচ্ছে তার স্বাভাবিকতা। এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার জন্য রেগুলেটরদের কার্যকর পদক্ষেপ নেবার পরামর্শ দেন তারা।
বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, শেয়ারবাজারে ব্যাংকের ৩৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আজ বেলা ১২ টা ২ মিনিটে লেনদেন হিসেবে, ব্যাংক খাতের ৭৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দরে কোন পরিবর্তন হয়নি। লেনদেন হয়েছে কিন্তু শেয়ার দরে নেই ওঠানামা। লেনদেন থেকে বিরত ছিল ২০ দশমিক ৫৮ শতাংশ ব্যাংকের শেয়ার। দর বাড়ার গতি ছিল না কোন ব্যাংক শেয়ারে। দর কমেছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ ব্যাংকের শেয়ার।
বেলা ১২ টা ২ মিনিটে ইসলামী ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে। তাও মাত্র ১০ পয়সা করে। লেনদেন দুই ঘন্টা পাড় হলেও লেনদেন করতে ব্যর্থ ৭টি ব্যাংকের শেয়ার। এগুলো হলো- ব্যাংক এশিয়া, এনসিসি ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, সাউর্থ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক এবং ইউসিবি ব্যাংক।
বাকী ২৫টি ব্যাংকে লেনদেন করেছে কিন্তু শেয়ার দরের কোন পরিবর্তন হয়নি। ব্যাংগুলো হলো- এবি ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডার্চ বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ব্যাংক, আইসিবি ইসলামি ব্যাংক, আইএফআইসি, জিআইবি, যমুনা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবারী ব্যাংক, শাহজালাল ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, সাউর্থ ইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং উত্তরা ব্যাংক।