বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলাম বলেছেন, বছরে কাজ করার সময় থাকে ২০০ দিনের কিছু বেশি। আর বাকি দিনগুলো ছুটিতে থাকে। প্রায় ১১ শত কোম্পানি আমাদেরকে দেখতে হয়। দৈনিক যদি আমরা ৫টা কোম্পানিও দেখি তাও একবছরে পুরো ১১ শত কোম্পানি দেখা সম্ভব হয় না। তাই সময় ও মানব সম্পদের সংকটের কারণে অতো বেশি তদারিক বা সুপারভিশন করা সম্ভব হয় না। কিন্তু চেষ্টা করে যাচ্ছি। তারপরও কিছু ভুলত্রুটি আমাদের হতেই পারে। যদি কাজ না করে চুপ থাকি, তাহলে কোন ভুলই হবে না।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থসূচক সম্পাদক ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি জিয়াউর রহমান।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিনিয়োগ শিক্ষার গুরুত্ব অনেক। বিনিয়োগের উপর যদি শিক্ষা না থাকে তাহলে যে জায়গাই বিনিয়োগ করেন সেটা ক্যাপিটাল মার্কেট না মানি মার্কেট হোক বা অন্য কোনো সেক্টরে হোক, ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
অধ্যাপক শিবলী বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেট বলতে সবাই সেকেন্ডারি মার্কেট ভাবতো। আমরা নতুন নতুন যে প্রোডাক্ট নিয়া আসছি, তা সারা পৃথিবীর সব মার্কেটে আছে। ক্যাপিটাল মার্কেটের জন্য যা যা প্রয়োজন, আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে আছি। সেটা আনা দরকার এবং আনব। কাজ করতে গেলে সমালোচনা হবেই। কিন্তু তারপরও এর রেজাল্ট বা ভালো ফলাফল আমরা পাব। তখন একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যাপিটাল মার্কেটে শিক্ষিত বিনিয়োগকারীরা যদি আসে, তখন রেজাল্টটা সবচেয়ে ভালো হবে। মানুষ বুঝে শুনে অপশন অপর্চুনিটি দেখে বিনিয়োগ করবে, তখনই বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবে।
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা লাভবান হলে সঞ্চয় বাড়বে, আর সঞ্চয় বাড়লে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আগ্রহী হবে। এভাবে দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম খুব ভালো করছে। তারা একদিকে যেমন আমাদের সমালোচনা করে সাহায্য করে, অন্যদিকে আমাদের পরামর্শের মাধ্যমে দিক নির্দেশনা দেয়।
তিনি আরো বলেন, সোস্যাল মিডিয়ার রিউমার এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে দিয়ে আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি এবং অপমান করা হয়। এগুলো আমাদের বাধাগ্রস্ত করছে। তারপরও আমার কাজ করছি।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি হিসেবে এই এক্সপো উদ্বোধন করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই চাই শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াক। যা নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। তিনি বলেন, দেশে শিক্ষিত জাতি দরকার। সেটা শুধু শেয়ারবাজারের জন্য না। কারন অপশক্তি শেয়ারবাজারের ন্যায় দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করে। শিক্ষিত জাতি হলে সেটা করা সহজ হবে না।
এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, বাংলাদেশ পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএপিএলসি) প্রেসিডেন্ট আনিস উদ দৌলা, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মোঃ ছায়েদুর রহমান এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) এর প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও।