ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১২ দশমিক ৩১ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ২৩ লাখ ৭৭ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩১ কোটি ১৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ৮ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৯০ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৩১৩টি শেয়ার ২ হাজার ১৮৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৮১ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৯২ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৪১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৯৫ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।
এদিকে আগের হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) লোকসান গুনলেও চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) মুনাফায় ফিরেছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট। চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯ পয়সা (লোকসান)। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১ পয়সা। এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৪৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ৭৪ পয়সা ছিল।
২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে তাদের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৭৭ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৪৮ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৬১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১০ টাকা ৬৩ পয়সা। এছাড়া ওই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল দুই টাকা ৬৪ পয়সা।
২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ সাত কোটি ৬১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১২ কোটি সাত লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৭ দশমিক ৩১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ২৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিডি অটোকারস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। পঞ্চম অবস্থানে থাকা আজিজ পাইপস লিমিটেডের শেয়ারদর ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়েছে।