একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে পুঁজিবাজার। গতিশীলতা ধরে রাখতে ফেব্রুয়ারিতে নতুন আরো দু’টি বোর্ড খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ- ডিএসই। লেনদেন সম্প্রসারণে প্রান্তিক পর্যায়ে বুথ খোলা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে এটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা। কোম্পানির অতীত ইতিহাস ও কর্মপদ্ধতি দেখেই বিনিয়োগের পরামর্শ তাদের।
করোনা ধাক্কায় তছনছ হয়ে যায় বিশ্ব অর্থনীতি। যার প্রভাব পড়ে দেশের পুঁজিবাজারেও। গেল বছরের শুরুতেই বিনিয়োগকারীদের হাহাকার আর দীর্ঘশ্বাসে ভারী হয়ে ওঠে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। পুঁজি হারিয়ে নি:স্ব বিনিয়োগকারীদের নামতে হয় রাস্তায়।
বছরের শুরুতেই পুঁজি হারানোর শঙ্কা থেকে স্বস্তিতে ফেরেন বিনিয়োগকারীরা। আকাশচুম্বী লেনদেনে গতি ফেরে পুঁজিবাজারে। এক দশক পর তলানী থেকে লেনদেন পৌঁছায় আড়াই হাজার কোটির ঘরে। বাজার সম্প্রসারণে নানা পদক্ষেপের কথা জানান ডিএসই চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান। এর মধ্যে নতুন ডাটা রেকোভারী টেকনোলজির ওপর জোর দেন তিনি।আইটি সেক্টরের উন্নয়নে আরো পদক্ষেপ নিতে চান, যাতে পুঁজি বাজারের সব তথ্যচিত্র একসাথে ডাটাবেজ আকারে আরো সংশৃঙ্খলভাবে রাখা যায়।
আর পুঁজিবাজার সম্প্রসারণে প্রয়োজনে জেলা পর্যায়ে বুথ খোলা হবে বলে জানান মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সায়েদুর রহমান। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বুথ খোলা হবে। যেসব বিদেশিরা এই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী তাদের জন্য আলাদা বুথ থাকবে। তাতে বিষয়টি বিদেশি বিনোয়গকারীদের জন্য নির্ঝঞ্জাট হবে বলে মনে করছেন মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি।
তবে তড়িৎ সিদ্ধান্ত দীর্ঘ মেয়াদে এ খাতে ঝুঁকি বয়ে আনবে বলে আশংকা বিশেষজ্ঞদের। পঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, যারা পুঁজিবাজারে জ্ঞান না নিয়ে বাজারটিতে বিনিয়োগ করতে আসেন, তাতে তাৎক্ষণিক লাভের মুখ দেখেন। কিন্তু পরবর্তীতে এতোটাই ক্ষতির সম্মুখিন হন যে, লাভের মুখ দেখা তো দূরে থাক, তারা বিনিয়োগ হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েন। তাই ঝুঁকি এড়াতে জেনে-বুঝে পুঁজিবাজারের লগ্নি করার তাগিদ দেন পঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ।
বাজার সম্প্রসারণে নতুন প্রতিষ্ঠানকে এ খাতে অন্তর্ভুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আরো তৎপর হওয়ার আহ্বান এই বিশেষজ্ঞের।