অস্বাভাবিক ভবন নির্মাণ ব্যয় উল্লেখ্যের মাধ্যমে ভূয়া সম্পত্তি দেখিয়ে শেয়ারবাজার থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া আছিয়া সী ফুডসের ২০২১-২২ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে আপত্তিকর মন্তব্য (কোয়ালিফাইড ওপিনিয়ন) করেছে নিরীক্ষক। যে কোম্পানিটির শেয়ারবাজার থেকে টাকা সংগ্রহের আগে ২১৩ শতাংশের মতো অস্বাভাবিক রপ্তানি বাড়লেও তালিকাভুক্তির বছরেই অর্ধেকে নেমে এসেছে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি, ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করা এবং তা কর্মীদের মধ্যে বিতরন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু আছিয়া সী ফুডস কর্তৃপক্ষ এই অমান্য করে কর্মীদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন।
আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ অনুযায়ি, কোম্পানির বেতন প্রদানের স্টেটমেন্ট রক্ষণাবেক্ষন করা দরকার। কিন্তু নিরীক্ষায় এ জাতীয় কোন স্টেটমেন্ট পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। এছাড়া কর্মীদের রিটার্ন দাখিলের তথ্য রক্ষণাবেক্ষনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও নিরীক্ষায় তা পাওয়া যায়নি।
এদিকে আছিয়া সী ফুডস কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ব্যয়ের উৎসে কর কর্তন ও উৎসে ভ্যাট কর্তনের হিসাব যথাযথভাবে করে না বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, তারা ভ্যাট রিটার্নের তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই করেছেন। যা ব্যাংক দ্ধারা সত্যায়িত। কিন্তু কোম্পানির আর্থিক হিসাবে ক্রয়ের তথ্য বনাম ভ্যাট রিটার্নের মধ্যে সামঞ্জস্য নেই।
ইস্যু ম্যানেজার এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসা আছিয়া সী ফুডসের সম্পদে ছিল অস্বাভাবিকতা। তারা আছিয়া সী ফুডসের ২০-২৫ বছর আগে নির্মাণ করা ভবনের (জমি ছাড়া) প্রতি স্কয়ার ফিট খরচ ৪ হাজার ৪৭২ টাকা করে উল্লেখ করে। যা বর্তমান বাজারের উচ্চ দরের কাঁচামাল দিয়ে নির্মাণেও লাগে না।
শেয়ারবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করা আছিয়া সী ফুডসের বর্তমানে পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৯.৩১ শতাংশ।
ইকনোমিক বিডি/এ এইচ