শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ব্যবসা পরিচালনা করা বা টিকিয়ে রাখা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক। কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারপরেও এমন একটি কোম্পানির শেয়ার নিয়ে সম্প্রতি গেম্বলিং হয়েছে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরে নিট ৮৮ লাখ টাকার মুনাফা হয়েছে। তারপরেও কোম্পানিটির সংরক্ষিত আয় (রিটেইন আর্নিংস) ঋণাত্মক ৩৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
এছাড়া কোম্পানিটি গ্রাহক সমস্যা, পাওনাদারের বকেয়া টাকা পরিশোধে অক্ষমতা ও ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অদক্ষতার মতো ভোগান্তিতে রয়েছে।
কোম্পানিটির এসব দূর্বলতা ও সমস্যা ভবিষ্যতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা তৈরী করেছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। তবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ব্যাংক ও শেয়ারহোল্ডারদের সহযোগিতায় ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা করে যাবে বলে আত্মবিশ্বাসী।
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সঙ্গে আইনগত জটিলতায় থাকা সোনারগাঁও টেক্সটাইলের গত ৩০ জুন দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। যার পরিমাণ আগের বছরের ৩০ জুন ছিল ৯২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এমন একটি কোম্পানির শেয়ার দর গত মে মাসের শেষার্ধ থেকে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত টানা বাড়ে। দেখা গেছে, ২৫ মে’র ২৮.১০ টাকার শেয়ার ১৬ আগস্ট ৭৮.১০ টাকায় উঠে যায়। এতে শেয়ারটির দর বাড়ে ৫০ টাকা বা ১৭৮%। তবে শেয়ারটি এখন ক্রেতা পাচ্ছে না। যাতে ৪৯.৬০ টাকার ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সোনারগাঁও টেক্সটাইলের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৫৫.৪৫ শতাংশ।