রাষ্ট্রায়াত্ব বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) নীতিমালা লঙ্ঘন করে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ অনুমোদন করেছে। এরফলে ঋণ দেওয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ঋণ আদায় করতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘদিন ঋণ অনাদায়ের ফলে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানটির লোকসানের পরিমাণ বেড়েই চলেছে।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২০ অক্টোবরের সভায় অস্তিত্বহীন কোম্পানিতে আইসিবির ঋণ নিয়ে সদস্যরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণ অনুমোদনে জড়িত আইসিবির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন তারা।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের জানান, সরকারের সদিচ্ছা সত্ত্বেও বিনিয়োগের ক্ষেত্র সমপ্রসারণে ব্যর্থ হচ্ছে আইসিবি। আইসিবির ঋণ আদায়ের হার সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ। কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে, অনেক অস্তিত্বহীন ও নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর আইসিবির কাছে দলিলসহ ব্যাখ্যা চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বরাবরে প্রেরিত এক চিঠিতে পত্র জারির ৭ কার্যদিবসের মধ্যে আইসিবিকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারকে সুসংহত করতে আইসিবিকে সংসদীয় কমিটির নির্দেশ প্রসঙ্গে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে উপযুক্ত বিষয়ে আইসিবিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ১১(২) এর অধীনে সাত কার্যদিবসের মধ্যে উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় দলিলসহ ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো।