৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের রিটেইনড আর্নিংস ও চলতি ২০২২ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৬০ শতাংশ নগদ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশের সুপরিশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চামড়া খাতের বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। বহুজাতিক কোম্পানিটির ২৫৭তম পর্ষদ সভা থেকে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি এ সুপারিশ করা হয়।
তথ্য অনুসারে, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ টাকা ফেসভ্যালুর প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ২৬ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লভ্যাংশ নির্ধারণ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর। চলতি হিসাব বছরে প্রথম তিন প্রান্তিকে বাটা সুর শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২০ টাকা ১১ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১০ টাকা ৮০ পয়সা। এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৬৯ টাকা ৯৪ পয়সায়। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৫৪ টাকা ৬৪ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বাটা সু। এর আগে আলোচ্য হিসাব বছরের জন্য ৭৫ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে বাটা সুর শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ১ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরে লোকসান ছিল ৯৬ টাকা ৮৩ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছিল ২৫২ টাকা ৩৩ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৭০ টাকা ৯ পয়সায়।
২০২০ হিসাব বছরে লোকসান হওয়ার কারণে বাটা সু বিনিয়োগকারীদের শুধু ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। যেখানে এর আগের ২০১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটেইনড আর্নিংসের ওপর ভিত্তি করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ওই হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৩৪৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।