শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আইটি কনসালটেন্টসের ব্যবসায় যে পরিমাণ মুনাফা হয়, তাতে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকার মতো লভ্যাংশ দেওয়া কঠিন কোন কাজ না। যা দেওয়ার পরেও মুনাফার একটি বড় অংশ রিজার্ভে থেকে যাবে। কিন্তু তারপরেও কোম্পানিটির পর্ষদ ‘বি’ ক্যাটাগরির লভ্যাংশ দেয়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ি, আইটি কনসালটেন্টসের ২০২১-২২ অর্থবছরের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি ১.৮৭ টাকা হিসেবে ২৪ কোটি ৫ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এরমধ্যে থেকে কোম্পানির পর্ষদ ৬% বা শেয়ারপ্রতি ৬০ পয়সা করে ৭ কোটি ৭২ লাখ টাকার বা ৩২% নগদ লভ্যাংশ বিতরন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি ১৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা ৬৮% রিজার্ভে রেখে দেবে।
এতে করে সক্ষমতা সত্ত্বেও আইটি কনসালটেন্টস ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রয়ে যাবে। অথচ অনায়াসেই ১০% লভ্যাংশ দিয়ে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হতে পারত। যে কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৮.৭০% লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা ছিল।
এর আগের অর্থবছরেও (২০২০-২১) কোম্পানিটির পর্ষদ সক্ষমতা অর্জন সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামে। ওই অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ১.৫৪ টাকা করে ১৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার নিট মুনাফার বিপরীতে ৫% বা শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা হারে মোট ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। যাতে কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নেমে আসে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া আইটি কনসালটেন্টসের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১২৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৪৮.৯১ শতাংশ।