দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিকল্প বাজার বা অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) চালু করতে সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এর জন্য গেজেটও প্রকাশিত হয়েছে। এখন বিকল্প বাজারে লেনদেনের কোম্পানিগুলোর শেয়ার ট্রান্সফারের প্রক্রিয়া চলছে। কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার ট্রান্সফারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই ডিএসইর বিকল্প বাজারের লেনদেন শুরু হবে বলে আশা করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
এই বিষয়ে ডিএসইর প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান মজুমদার শেয়ারনিউজ২৪.কমকে বলেন, এটিবি মার্কেটের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এটিবিতে লেনদেনের কোম্পানিগুলোর শেয়ার ট্রান্সফারের কাজ চলছে। কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার ট্রান্সফার শেষ হলেই ডিএসইর বিকল্প বাজারের লেনদেন শুরু হবে।
এর আগে, শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত ২৯ আগস্ট এটিবির প্রবিধিমালার খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। বিএসইসি নতুন এই বাজারের জন্য এরই মধ্যে ১৮টি কোম্পানি চুড়ান্ত করেছে।
এছাড়া পাবলিক কিন্তু তালিকাভুক্ত নয় দেশে এমন কোম্পানির সংখ্যা ২ হাজার ১৭৩টি। এটিবি চালু হলে এসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে। মার্চেন্ট ব্যাংকের কোনো সহযোগিতা ছাড়াই সরাসরি ডিএসইর মাধ্যমে বা বিশেষ ক্ষেত্রে বিএসইসির নির্দেশনায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে।
মূলত শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানি নিয়ে এটিবি গঠন করা হবে। এর মধ্যে যেসব কোম্পানির মূলধন ৫ কোটি টাকার নিচে তাদের সুযোগ দেওয়া হবে। এমনকি ৩০ বা ৫০ লাখ টাকার কোম্পানিও এতে তালিকাভুক্ত হবে পারবে।
এছাড়াও, ডিএসইর তালিকাভুক্ত কিন্তু লোকসানের কারণ বিলুপ্ত হয়ে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের (ওটিসি) রয়েছে, এমন কোম্পানিও এরমধ্যে যাদের ব্যবসা সচল রয়েছে এবং নিয়মিত এজিএম অনুষ্ঠিত হয় ও বার্ষিক প্রতিবেদন রয়েছে তারা সুযোগ পাবে।
এটিবিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ৫১ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে থাকতে হবে। আর বাকি ৪৯ শতাংশ শেয়ার তারা বিক্রি করতে পারবে। তবে প্রতিষ্ঠানকে প্রথম মাসে ১০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করতে হবে। লেনদেন শুরুর প্রথম দুদিন সার্কিট ব্রেকার থাকবে ৪ শতাংশ। নিয়মিত দর বাড়া বা কমার ক্ষেত্রে এটি হবে ৫ শতাংশ।
বিকল্প বাজারে বিনিয়োগকারী যে কোনো সময় শেয়ার কিনতে পারলেও তিন মাসের আগে বিক্রি করতে পারবে না। বিক্রি করলেও লাভের সব টাকা দিতে হবে বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলে। কারসাজি বন্ধে এটিবি বিনিয়োগকারীদের জন্য থাকবে মার্জিন ঋণের সুবিধা। আর তালিকাভুক্ত হওয়ার আগের উদ্যোক্তা-পরিচালকসহ প্লেসমেন্টধারীরা প্রাথমিক (প্রাইমারি) শেয়ারহোল্ডার হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিষয় প্রবিধানমালায় উল্লেখ আছে।
বাংলা প্রসেস, ড্যান্ডি ডায়িং, ডায়নামিক টেক্সটাইল; মেটালেক্স করপোরেশন, মিতা টেক্সটাইল, মর্ডান সিমেন্টে, মর্ডান ইন্ডাস্ট্রিজ, মোনা ফোড, পারফিউম কেমিক্যাল, পেট্রো সিনথেটিক্স, ফার্মাকো ইন্টারন্যাশনাল; কাশেম সিল্ক; কাশেম টেক্সটাইল; রাসপিট ইনকোরেশন বিডি; রোজ হ্যাভেন বলপেন,সালেহ কার্পেট মিলস, শ্রীপুর টেক্সটাইল মিলস এবং ইউনাইটেড এয়ার (বিডি)।