1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
আলহাজ্ব টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান বিএসইসির সাবেক কমিশনার
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন

আলহাজ্ব টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান বিএসইসির সাবেক কমিশনার

  • পোস্ট হয়েছে : রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২

পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলসের পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদে নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক কমিশনার এবং সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ খন্দকার কামালুজ্জামান।

সম্প্রতি আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে বিষয়টি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে।

তথ্য মতে, আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলসের স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম ছিলেন। এখন বিএসইসির নতুন মনোনয়নের পরিপ্রেক্ষিতে খন্দকার কামালুজ্জামান দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি বিএসইসির মনোনীতি চারজন পরিচালক আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলসে পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের যোগদান করেন। স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যপক ড. এএফএম আব্দুল মঈন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) সহযোগী অধ্যাপক মিলিতা মেহজাবিন।

এ বিষয়ে জানতে আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলসের কোম্পানি সচিব সেলিম পারভেজের সঙ্গে শেয়ার বিজ থেকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি এবং পরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা হলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেন জবাব পাওয়া যায়নি।

পরবর্তী সময় চলতি বছরের জুলাইয়ে কোম্পানিটির স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে জনতা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ইন প্রোসেস) মো. জিকরুল হককে ড. মিলিতা মেহজাবিনের স্থলাভিষিক্ত করা হয়। আর নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটের সিনিয়র ফ্যাকাল্টি মেম্বার মো. সেলিমকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

তথ্য মতে, আর্থিক অবস্থার ধারাবাহিক অবনতির কারণে আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলসের ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে নেমে আসে। দীর্ঘ দুই বছর ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে থেকেও কোম্পানিটির কোনো উন্নতি হয়নি। তৎকালীন কোম্পানিটির উদ্যোক্তা বা পরিচালকরা মাত্র ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার ধারণের মাধ্যমে বিএসইসির সর্বনি¤œ ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের নির্দেশনা ভঙ্গ করেছিল। এছাড়া সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা গত দুই হিসাববছর কোনো লভ্যাংশ পাননি। এরই ধারাবাহিকতায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে কমিশন আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলসের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে।

একইসঙ্গে কোম্পানিটির সার্বিক বিষয় তদারকির জন্য তিন সদস্যের একটি বিশেষ তদারকি কমিটি গঠন করে দেয় কমিশন। গঠিত তদারকি কমিটি সদস্যরা হলেনÑবিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে মনোনীত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম ও ডিএসইর তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) আব্দুল মতিন পাটোয়ারী।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৯ ও ২০২০ সালের কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। তবে নতুন পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব নেয়ার পর কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছিল ৫৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ২৬ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৯৩ পয়সা।

প্রসঙ্গত, আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৮৩ সালের। বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২২ ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ২২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৪৯টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ২৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ, সরকারের হাতে দশমিক ০১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২০ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ