1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ অপরাহ্ন

দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

  • পোস্ট হয়েছে : বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২
Bsec-dse-cse-

গতকাল দেশের পুঁজিবাজারে দিনভর অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। ক্রমাগত বিক্রয়চাপের কারণে এদিন সূচকে নামমাত্র উত্থান হয়েছে। পাশাপাশি দৈনিক লেনদেনের পরিমাণও কমে দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে। দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকট আরো প্রকট হতে পারে—এমন শঙ্কার কারণেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নিতে দেখা গেছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, জ্বালানির মূল্যে ঊর্ধ্বমুখিতার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বিদ্যুৎ সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে লোডশেডিংয়ের পরিমাণও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। সহসাই পরিস্থিতির উন্নতির আশা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরাও। তার ওপর আগামী বছরে বিশ্বে খাদ্য সংকটের শঙ্কাও রয়েছে। এতে দেশেও প্রভাব পড়তে পারে। এর সঙ্গে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও টাকার অবমূল্যায়ন তো রয়েছেই। তাছাড়া ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ব্যবসা ও মুনাফায়ও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে। সব মিলিয়েই পুঁজিবাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে দুদিন ধরেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তবে ফ্লোর প্রাইসে থাকার কারণে অনেক শেয়ারেই বিক্রেতা থাকলেও কোনো ক্রেতা ছিল না। ফলে দিন দিন লেনদেনে অংশ নেয়া শেয়ারের পরিমাণও কমছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরুর পর ৩ মিনিট পর্যন্ত ইতিবাচক ছিল ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স। এর পর থেকেই শেয়ার বিক্রির চাপে পয়েন্ট হারাতে শুরু করে সূচকটি। এর ১৫ মিনিট পরে সূচক ঘুরে দাঁড়ায়। তবে শেয়ার বিক্রির চাপে এর ১৯ মিনিট পর থেকেই আবারো পয়েন্ট হারাতে শুরু করে সূচক। দিনভর অস্থিরতা শেষে গতকাল আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস, সোনালী পেপার মিলস ও ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ারের।

ডিএসইতে গতকাল ১ হাজার ১০ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ১ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৬৮টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ৮০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২১৫টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

অন্যদিকে সিএসইর নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল ২৪ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৩৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল ৩৮ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার ১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২১৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৮টির, কমেছে ৭৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১০৩টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ