শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমসের ২০২১-২২ অর্থবছরের ব্যবসায় ১০ টাকার উপরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে। এই কোম্পানিটির সক্ষমতা থাকার পরেও উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা নগদ লভ্যাংশ নেবেন না। তারা শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
সাধারনত একটি কোম্পানির লভ্যাংশ সব ধরনের শেয়ারহোল্ডার নেয়। তবে সক্ষমতার অভাবে এবং ক্যাটাগরি ধরে রাখার জন্য বা উপরে উঠার জন্য মাঝেমধ্যে কিছু কোম্পানির উদ্যোক্তা/পরিচালকদের নগদ লভ্যাংশ নিতে দেখা যায় না। কিন্তু ডরিন পাওয়ারে এ জাতীয় কোনটি না থাকা সত্ত্বেও উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা নগদ লভ্যাংশ নেবে না।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ি, ডরিন পাওয়ারের ২০২১-২২ অর্থবছরের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১০.৩১ টাকা। এ হিসেবে অর্থবছরটিতে কোম্পানিটির ১৬৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে।
এই মুনাফার বিপরীতে ডরিন পাওয়ারের পরিচালনা পর্ষদ শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৮ শতাংশ হারে শেয়ারপ্রতি ১.৮০ টাকা করে মোট ৯ কোটি ৭২ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আর সবার জন্য ১২ শতাংশ হারে ১৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা করে বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট ২৯ কোটি ১৩ লাখ টাকার লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।
মুনাফার বাকি ১৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা বা ৮২.৫৩ শতাংশ রিটেইন আর্নিংসে যোগ হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডরিন পাওয়ারের সচিব মাসুদুর রহমান ভূইয়া বিজনেস আওয়ারকে বলেন, আমাদের উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা বরাবরই শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তারা সাধারন শেয়ারহোল্ডারদেন দেন এবং নিজেদের অংশ কোম্পানির উন্নয়নে রেখে দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ডরিন পাওয়ারের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৬১ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদদের মালিকানা ৩৩.৩৯ শতাংশ। এ কোম্পানিটির রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ৭৫.১০ টাকায়।