সম্প্রতি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিডিকম অনলাইনের শেয়ার কারসাজিতে শাস্তি প্রদান করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে এক্ষেত্রে শাস্তির পরিমাণ কম হওয়ায় কারসাজিকাররা আগের চেয়ে আরও বেশি সক্রিয় হয়েছে। যাতে আগের চেয়ে অনেক বেশি মুনাফা করার লক্ষ্যে শেয়ারটিকে আরও বেশিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
চলতি বছরের ৭ মার্চ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত সময়ে বিডিকমের শেয়ার দর কৃত্রিমভাবে ৪৫% বাড়ানো হয়। এক্ষেত্রে শেয়ারটি ২৩.৬০ টাকা থেকে ৩৪.৩০ টাকায় তোলা হয়। এই উত্থানে ডিআইটি কো-অপারেটিভ লিমিটেড ও এর সহযোগি সংঘবদ্ধ চক্রটি রিয়েলাইজড (বিক্রি সম্পন্ন লেনদেন থেকে) ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার গেইন করে। আর আনরিয়েলাইজড মুনাফা করে ২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে মোট মুনাফা হয় ৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
এই মুনাফার বিপরীতে সংঘবদ্ধ চক্রটিকে মাত্র ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করে বিএসইসি। যা কারসাজিকারদেরকে কারসাজিতে আরও উৎসাহিত করেছে। কারসাজির মাধ্যমে উপার্জিত মুনাফার থেকে শাস্তি কম হলে, সে কাজে উৎসাহ হওয়াটা স্বাভাবিক।
যে চক্রটি বিডিকমে শেয়ারটি ৩৪.৩০ টাকা তুলতেই ৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা মুনাফা করেছে, সেটি এখন ৫৭ টাকার উপরে তোলা হয়েছে। এতে যে কারসাজিকারদের মুনাফা বেড়েছে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।
সম্প্রতি বিডিকমের শেয়ার কারসাজিতে শাস্তি প্রদানের পরে শেয়ারটি নিয়ে আরও বেশি আগ্রাসি হয় কারসাজিকারেরা। এর মাধ্যমে তারা এক প্রকার বিএসইসিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। যার পেছনে মুনাফার থেকে বিএসইসির কম শাস্তি প্রদান অন্যতম কারন হিসেবে কাজ করছে।
গতানুগতিক ব্যবসা করা বিডিকমের শেয়ারটি ১৪ সেপ্টেম্বর ৩৩ টাকায় ছিল। যে শেয়ারটি ২২ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে ৫৫.৪০ টাকায় উঠে এসেছে। যেটি রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আরও বেড়ে দুপুর ১.৩৩-এ ৫৮ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।