বিদায়ী সপ্তাহে (১৮-২২ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শীর্ষ লেনদেনের ১০ কোম্পানি হলো- ওরিয়ন ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, জেএমআই হসপিটাল, লাফার্জ হোলসিম, ইউনিক হোটেল, ইস্টার্ন হাউজিং, একমি ল্যাবরেটরিজ, শাইনপুকুর সিরামিকস এবং শাহজিবাজার পাওয়ার।
শীর্ষ দশ কোম্পানির মধ্যে ৮ কোম্পানির শেয়ার কিনেছেন বিনিয়োগকারীরা। যার কারণে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন বৃদ্ধির পাশাপাশি দর বৃদ্ধিতেও এগিয়েছিল এই ৮ কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো- ওরিয়ন ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, জেএমআই হসপিটাল, ইউনিক হোটেল, ইস্টার্ন হাউজিং, একমি ল্যাবরেটরিজ, শাইনপুকুর সিরামিকস এবং শাহজিবাজার পাওয়ার।
শীর্ষ লেনদেনের ৮ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ায় বিনিয়োগকারীরা লাভবান হয়েছেন। বাজার সূত্রে জানা গেছে, বড় বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিগুলোর শেয়ার কেনার মেজাজে ছিলেন। যার কারণে কোম্পানিগুলোর লেনদেন বৃদ্ধির পাশাপাশি শেয়ারদরও ঊর্ধ্বগতিতে ছিল। গত সপ্তাহের মতো চলতি সপ্তাহেও যদি বড় বিনিয়োগকারীরা বাই মুডে থাকেন, তাহলে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর হয়তো আরও বাড়তে পারে। আর যদি বিক্রি মুডে মুনাফা তোলার প্রবণতায় থাকেন, তাহলে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরে সংশোধন দেখা দিতে পারে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে লেনদেনে শীর্ষে থাকা ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার সপ্তাহজুড়ে ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার ৭০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১ হাজার ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২.২৭ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ১১৬ টাকা ২০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ১৪৯ টাকা ৬০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর বেড়েছে ৩৩ টাকা ৪০ পয়সা বা ২৮.৭৪ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৩ কোটি ২ লাখ ৪৯২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৪৭৯ কোটি ৭০ লাখ ৪১ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪.৭৪ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ১৩৫ টাকা ৪০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ১৬৮ টাকা ৯০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর বেড়েছে ৩৩ টাকা ৫০ পয়সা বা ২৪.৭৪ শতাংশ।
লেনদেনের চতুর্থ দখল করেছে জেএমআই হসপিটাল। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২ কোটি ৮৪ লাখ ২ হাজার ৭০৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৩৫৮ কোটি ৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩.৫৪ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ১১৫ টাকা ৮০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ১৩১ টাকা ৫০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর বেড়েছে ১৫ টাকা ৭০ পয়সা বা ১৩.৫৬ শতাংশ।
তালিকার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ইউনিক হোটেল। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার ৫৫৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২০২ কোটি ৮০ লাখ ২৩ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২.০১ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ৬৮ টাকা ৫০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৭৪ টাকা ৪০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর বেড়েছে ৫ টাকা ৯০ পয়সা বা ৮.৬১ শতাংশ।
লেনদেন তালিকার সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে ইস্টার্ন হাউজিং। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২ কোটি ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৬৮৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৯৭ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১.৯৫ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ৭৯ টাকা ৬০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৯৩ টাকা ১০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর বেড়েছে ৩ টাকা ৫০ পয়সা বা ১৬.৯৬ শতাংশ।
তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজ। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১ কোটি ৯১ লাখ ৪৫ হাজার ৩১০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৯৭ কোটি ৫৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১.৯৫ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ৯২ টাকা ৭০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ১০৩ টাকা ২০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর বেড়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা বা ১১.৩৩ শতাংশ।
শাইনপুকুর সিরামিকস লেনদেন তালিকার নবম স্থানে উঠে এসেছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৩ কোটি ৬৮ লাখ ১৩ হাজার ৩০৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৯১ কোটি ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১.৯০ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ৪৮ টাকা ১০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৫০ টাকা ৬০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর বেড়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা বা ৫.২০ শতাংশ।
শাহজিবাজার পাওয়ার লেনদেন তালিকার দশম স্থানে রয়েছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১ কোটি ৯২ লাখ ৪৭ হাজার ৬৯৮টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৮৬ কোটি ৬২ লাখ ২০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১.৮৫ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ৮৬ টাকা ৬০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ১০০ টাকা ৮০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর বেড়েছে ১৪ টাকা ২০ পয়সা বা ১৬.৪০ শতাংশ।