1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন

এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন

  • পোস্ট হয়েছে : বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে ঊর্ধ্বমুখিতার পর গতকাল সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এদিন লেনদেনের শুরুতে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচকে উত্থান দেখা গেলেও শেষ দেড় ঘণ্টার বিক্রয়চাপের কারণে পয়েন্ট হারিয়েছে সূচক। সূচক কমলেও বিনিয়োগকারীরা বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রির কারণে গতকাল এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ডিএসইতে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল সূচক বাড়লেও দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, গত কয়েকদিনের উত্থানের কারণে গতকাল পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা বেশি ছিল। তাছাড়া দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণে তালিকাভুক্ত কোম্পানির আর্থিক ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে এমন শঙ্কায় অতিসাবধানী বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এসব কারণে শুরুর দিকে সূচকে উত্থান হলেও শেষ বেলার বিক্রয়চাপের কারণে পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরুর পর থেকে বেলা সোয়া ১২টা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী ছিল ডিএসইএক্স। এ সময়ে আগের দিনের তুলনায় ৭১ পয়েন্ট বেড়েছিল সূচকটি। শেয়ার বিক্রির চাপে এর পর থেকেই পয়েন্ট হারাতে শুরু করে সূচকটি। বেলা ১টা থেকে দরপতনের মাত্রা আরো তীব্র হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত গতকাল দিন শেষে এর আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৫৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৬ হাজার ৬০১ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৪০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের দিন শেষে যা ছিল ২ হাজার ৪০৬ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের দিন শেষে যা ছিল ১ হাজার ৪৫১ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, পূবালী ব্যাংক, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস, জেনেক্স ইনফোসিস ও তিতাস গ্যাসের শেয়ারের।

ডিএসইতে গতকাল ২ হাজার ৮৩২ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ১ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৭৩টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ১৫৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৪৫টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ দখলে নিয়েছে বিবিধ খাত। ৮ দশমিক ৯ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৬ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। আর তথ্যপ্রযুক্তি খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৫ দশমিক ২ শতাংশ। গতকাল পুঁজিবাজারে কাগজ ও মুদ্রণ খাতে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৮ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন ছিল সেবা ও আবাসন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। এছাড়া আরো ৭ খাতের শেয়ারে গতকাল নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে।

সিএসইর নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৬৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১১ হাজার ৬২৫ পয়েন্টে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল ৫৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ৪৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ১৯ হাজার ৩৯৪ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২৮২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৯টির, কমেছে ৯৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১০৬টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে ৪৯ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৯৩ কোটি টাকা।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ