বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, বিনিয়োগের নিরাপত্তা না থাকলে কেউ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে আসবে না।
তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে চায় না। কোম্পানির মালিকরা বেতন-ভাতা, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল-সবই পরিশোধ করেন। কেবল শেয়ারহোল্ডারদেরকে লভ্যাংশ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের যত গড়িমসি।
মঙ্গলবার(২০ সেপ্টেম্বর) ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) আয়োজিত ‘রিং দ্যা বেল সিরিমনি অফ আইসিবি এএমসিএল সিএমএসএফ গোল্ডেন জুবিলী মিউচুয়াল ফান্ড’ ও ‘ইনভেস্টরস’ ক্লেইম স্যাটেলমেন্ট প্রোগ্রাম’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
সিএমএসএফ চেয়ারম্যান ও সাবেক মূখ্য সচিব মোহাম্মদ নজিবুর রহমানের সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, বিএসইসি কমিশনার ড. মিজানুর রহমান এবং ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আলোচিত অতিথিবৃন্দ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির আহ্বায়ক শ্যামল দত্ত, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম সাইফুর রহমান মজুমদার এফসিএমএ, আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ আহমেদুর রহমান, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের চিফ অব অপারেশন মনোয়ার হোসেন এফসিএ, এফসিএমএ।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, তারা বিনিয়োগের নিরাপত্তা বাড়াতে নানা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। বছরের পর বছর বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ পড়েছিল। তারা এই লভ্যাংশ দিয়ে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল গঠন করেছেন। ফলে বিনিয়োগকারীরা চাইলেই তাদের প্রাপ্য লভ্যাংশ পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে এই তহবিলের অর্থ বাজারের স্থিতিশীলতা ও গতি বাড়াতে কাজে লাগানো হবে। এই তহবিলের আকার কোনোদিন কমবে না। বরং এটি বাড়তেই থাকবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এই বাজারের আকার সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা থেকে বেড়ে সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। চলতি বছরেই এটি ৮ লাখ কোটি টাকা উন্নীত হবে।
তিনি আরও বলেন, সামনে অনেক ভালো ভালো সংবাদ আসতে যাচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই এটিবি চালু হবে। এরপর সিএসই কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করতে যাচ্ছে।