১৯৯৬ ও ২০১০ সালে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারীতে বিতর্কিত রকিবুর রহমান এবার সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টি লিমিটেডে (সিসিবিএল) বিতর্কিতভাবে পরিচালক হয়েছেন। অথচ তার নিয়োগে আইনগত বাধা রয়েছে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আইনজীবী মতামত দিয়েছিলেন।
ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট বিধিমালা-২০১৭ এর তফসিল-২ এর ১(চ)তে বলা আছে, ট্রেডিং পার্টিসিপেন্ট বা তাদের প্রতিনিধি সিসিবিএলের পরিচালক হতে পারবেন না। অর্থাৎ কোন ব্রোকারেজ হাউজ বা তার প্রতিনিধি সিসিবিএলের পরিচালক হওয়ার যোগ্য না। এ হিসেবে রকিবুর রহমান সিসিবিএলের পরিচালক হওয়ার অযোগ্য।
রকিবুর রহমানের মালিকানাধীন মিডওয়ে সিকিউরিটিজ ডিএসইর ট্রেডিং পার্টিসিপেন্ট। আর ওই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডার হিসেবে ডিএসইতে প্রতিনিধিত্ব করছেন রকিবুর। যে কারনে তার সিসিবিএলে পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা নেই।
এই সমস্যা কাটিয়ে তোলার জন্য বিগত কমিশনের সময় কয়েক দফায় ডিএসইর শেয়ারহোল্ডারদের পরিচালক হওয়ার সুযোগ চেয়ে মৌখিকভাবে আবেদনও করা হয়েছিল। প্রয়োজনে ট্রেক অন্য কারও নামে ট্রান্সফারের মাধ্যমে হলেও পরিচালক হওয়ার সুযোগ চাওয়া হয়েছিল। তবে আইনে আর পরিবর্তন করতে না চাওয়ায় সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি।
যে কারনে ডিএসই ওই সময় মিনহাজ মান্নান ইমনকে সিসিবিএলের পরিচালক হিসেবে মনোনিত করলেও তিনি তা হতে পারেননি। আর ট্রেক হস্তান্তরের মাধ্যমেও কোন সুফল আসবে না জেনে, ইমন তা করেননি। তবে রকিবুর রহমান পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন হবে ভেবে মিডওয়ে সিকিউরিটিজের ট্রেক ছেলের নামে হস্তান্তর করে দেন।
কিন্তু ট্রেডিং পার্টিসিপেন্ট দ্ধারা শুধুমাত্র ট্রেকধারন করাকে বুঝায় না, এটা দিয়ে পুরো ব্রোকারেজ হাউজকে বোঝায় বলে জানিয়েছেন ডিএসই ও সিএসইর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এছাড়া ট্রেক হস্তান্তর করলেও সিসিবিএলের পরিচালক হওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত বাধা থাকে বলে ডিএসইর আইনজীবীও মতামত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ডিএসই শেয়ারহোল্ডার পরিচালককে সিসিবিএলের পরিচালক হিসেবে মনোনিত করতে পারেন না, যদি তারা ট্রেডিং পার্টিসিপেন্ট পরিচালনা করেন।
এসত্ত্বেও সিসিবিএলের পরিচালক হিসেবে রকিবুর রহমানকে মনোনিত করে ডিএসইর পর্ষদ। যা নিয়ে বিএসইসি আইন পরিপালন হয়েছে কিনা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। এক্ষেত্রে ডিএসইর সচিব আসাদুর রহমান স্টক এক্সচেঞ্জটির নিজস্ব আইনজীবীর মতামত উপেক্ষা করেন এবং পরিপালন করা করা হয়েছে বলে জানান।
এই অবস্থার মধ্যেই চলতি বছরের ১৭ জুন বিএসইসি সিসিবিএলের ১১ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন দেয়। এরমধ্যে ৭ জন স্বতন্ত্র ও ৪ জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক। ওই ৪ পরিচালকের মধ্যে রয়েছেন-ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান, সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, সিডিবিএলের ভাইস-চেয়ারম্যান একেএম নুরুল ফজল বুলবুল ও মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের পক্ষে আনিস এ খান।