পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের উদ্যোক্তা আবু খায়ের মোহাম্মদ সাখাওয়াত ব্যাংকটির ১৫ লাখ শেয়ার বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে এ উদ্যোক্তার কাছে ব্যাংকটির ১ কোটি ৪৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭৭৩টি শেয়ার রয়েছে। যা থেকে ঘোষণাকৃত শেয়ার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল মার্কেটের মাধ্যমে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিক্রি করবেন এ উদ্যোক্তা। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে।
২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭৪৯ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৩৭৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৭৪ কোটি ৯২ লাখ ২৫ হাজার ৬৫০। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৫০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ৪৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) যমুনা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৪ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৬৪ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩২ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৪ পয়সা। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ২৩ পয়সায়। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৪ টাকা ৯১ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে যমুনা ব্যাংক লিমিটেড। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৩৫ পয়সা। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩ টাকা ৫৪ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৪১ পয়সায়।
এর আগের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে যমুনা ব্যাংক। ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংকটি। ২০১৮ হিসাব বছরে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। ২০১৭ হিসাব বছরে ২২ শতাংশ স্টক ও ২০১৬ হিসাব বছরে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।