দেশের পুঁজিবাজারে গত মঙ্গলবার নামমাত্র উত্থান হলেও এক দিন পর গতকাল বুধবার সূচকর বড় পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এদিন দেশের পুঁজিবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন ও লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর কমেছে। এদিন বড় পতনের মধ্যেও আগের দিনের মত বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে পাট খাতের শেয়ার। এরপর আগ্রহের শীর্ষে যথাক্রমে ট্যানারি ও ভ্রমণ খাতের শেয়ার রয়েছে।
পুঁজিবাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে থাকা পাট খাতের শেয়ারের দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট তিনটি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে এবং তিনটি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। এরপর অবস্থান করা ট্যানারি খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ খাতে লেনদেন হওয়া ছয়টি কোম্পানির মধ্যে পাঁচটি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ খাতের শেয়ারের দর গতকাল দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল আলোচ্য খাতে লেনদেন হয়েছে চারটি কোম্পানির শেয়ার এবং দর বেড়েছে মাত্র একটি কোম্পানির শেয়ারের।
অপরদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে কম আগ্রহ কম ছিল সিরামিক খাতের শেয়ারে। গতকাল খাতটির শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ। আলোচ্য খাতে পাঁচটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে, এর মধ্যে দর কমেছে তিনটি কোম্পানির শেয়ারের। এরপর রয়েছে সিমেন্ট খাতের শেয়ার। গতকাল খাতটিতে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। সিমেন্ট খাতে গতকাল সাতটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবং তিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। শেয়ারদর কমার দিক থেকে গতকাল তৃতীয় স্থানে ছিল সেবা খাত। খাতটিতে গতকাল চারটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে, এর মধ্যে তিনটি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। সেবা ও আবাসন খাতে গতকাল ২ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।
এদিকে লেনদেনের দিক থেকে গতকাল সবার শীর্ষে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৪ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর রয়েছে বিবিধ খাত। বিবিধ খাতে গতকাল ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন করে গতকাল তৃতীয় স্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়ে চতুর্থ স্থানে ছিল বস্ত্র খাত।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৩৭ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বা দশমিক ১৭ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩ দশমিক ১১ পয়েন্ট বা দশমিক ১৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪২৬ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে ও দুই হাজার ৩৫৩ দশমিক ৫১ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল টাকার পরিমাণে লেনদেন এক হাজার ৪৮০ কোটি সাত লাখ টাকার, যা আগের দিনের চেয়ে ১১৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বেশি। ডিএসইতে গতকাল ৩৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ১২৯টির, দর কমেছে ১০৮টির এবং ১৪০টির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত রয়েছে।