পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে জার্মানির প্রতিষ্ঠান ডিইজি থেকে সহজলভ্যে ১৫ মিলিয়ন ইউরো দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সুবিধা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেয়েছে কোম্পানিটি। গতকাল ডিএসইর মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি।
তথ্য অনুসারে, এ ঋণ পেতে আইপিডিসি ফাইন্যান্সকে কিছু শর্ত দিয়েছে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ডিইজি। এ শর্ত নিয়ে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে পুনরায় আলোচনা করবে আইপিডিসি।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) আইপিডিসি ফাইন্যান্সের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১১ পয়সা। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৫ পয়সা। এ বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১১ পয়সায়।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে আর্থিক খাতের কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের আয় আগের হিসাব বছরের তুলনায় ২১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৩৪৪ কোটি টাকা হয়। আর কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৮৮ কোটি টাকায়। সমাপ্ত হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয় ২ টাকা ৩৭ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরে আয় ছিল ১ টাকা ৯০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৭ টাকা ১২ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৬ টাকা ৩৪ পয়সা।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স। আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯০ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৭২ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।