পুঁজিবাজারে এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেঙ্গল বিস্কুটের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অভিযোগ উঠেছে। এসব অনিয়ম ও অভিযোগ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) হাতে জমা পড়েছে। ওই অনিয়ম ও অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করেছে কমিশন।
সম্প্রতি সংক্রান্ত একটি চিঠি বেঙ্গল বিস্কুটের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটির বিরুদ্ধে কমিশনে জমা পড়া বেশিরভাগই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ। আর বিষয়টি আমলে নিয়ে কমিশন ব্যাখ্যা চেয়েছে।
কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বেঙ্গল বিস্কুটের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ায় ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। কোনও অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তথ্য মতে, ১৯৬৯ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্সের সেকশন ১১ (২) অনুযায়ী কোম্পানিটির নিকট ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশন। বিএসইসি থেকে ব্যাখ্যা চেয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলের কাগজপত্র। ওই সময় থেকে প্রতি মাসের বিক্রয় প্রতিবেদন এবং ব্যাংকের স্ট্যাটমেন্ট কমিশনে জমা দিতে হবে। আলোচ্য সময় থেকে মাসিক ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স (ভ্যাট) এর কাগজপত্র। এছাড়া কোথায় মালামাল বিক্রি করা হয়েছে সেই ঠিকানাসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানিতে চাকরিরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের তথ্য , তাদের গত ৩ মাসের বেতন ভাতার সীট কমিশনের জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
কোম্পানির বর্তমান চিত্র ও ভবিষ্যৎ উন্নতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন, পরিচালকদের পর্ষদ সভা সংক্রান্ত কাগজপত্র। তাদের পর্ষদ সভার পরিচালকদের ভাতা সংক্রান্ত হিসাব ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বেঙ্গল বিস্কুট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। কোম্পানির শেয়ার গত রোববার সর্বশেষ ১৩১.২০ টাকা বেচাকেনা হয়েছে। কোম্পানির শেয়ারসংখ্যা ৭৯ লাখ ৩৮ হাজার। এরমধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩০.৬০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০.২৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৯.১৩ শতাংশ শেয়ার আছে।