কয়েকদিনের বিরতি দিয়ে আবারও বিমা খাতে ফিরে এসেছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিমা খাত। যার জের ধরে এ খাতের সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। তবে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান উল্লেখযোগ্য পরিমাণ না থাকলেও ইতিবাচক রিটার্নে এগিয়েছে। গতকালের বাজারচিত্রে এমন পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
বাজার পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, গতকাল সকাল থেকেই বিমা কোম্পানির শেয়ারে চোখ ছিল বিনিয়োগকারীদের। যে কারণে অন্য খাতের তুলনায় এ দুই খাতের শেয়ারে বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা বেশি ছিল। যার ফলে লেনদেনের শুরু থেকেই এসব কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে থাকে।
গতকাল লেনদেন হওয়ার বিমা খাতের মোট ৫৪টি কোম্পানির মধ্যে ৪৭টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, তিনটির শেযারদর অপরিবর্তিত ছিল আর বাকি চারটি কোম্পানির শেয়ারদর কমতে দেখা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গতকাল ইতিবাচক রিটার্নের তালিকায় শীর্ষে ছিল সেবা খাত। আর এর পরের অবস্থানেই ছিল সাধারণ বিমা খাত। এ খাতে রিটার্ন ছিল তিন দশমিক ১০ শতাংশ। অন্যদিকে জীবন বিমা খাতে রিটার্ন ছিল এক দশমিক ২০ শতাংশ। গতকাল পাট, সিমেন্ট এবং ওষুধ ও রসায়ন খাত বাদে বাকি সব খাতেই ছিল ইতিবাচক রিটার্ন।
এদিকে বেশ কয়েকদিন পর গতকাল বেশ ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিমা খাত। বেশ কয়েকদিন ধরে এ খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমতে দেখা যায়। যে কারণে গতকাল এ শেয়ার কিনতে আগ্রহ দেখান বিনিয়োগকারীরা। তাদের আগ্রহের কারণে দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ৫ শতাংশের কিছু কম। এছাড়া গতকাল সেবা, সিরামিক ও ব্যাংক খাতের কোম্পানিতেও বিনিয়োগকারীদের সন্তোষজনক আগ্রহ দেখা যায়।
অন্যদিকে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেন বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে গত ১০ মাস ২০ দিনের মধ্যে গতকাল সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। গতকাল লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার এবং ইউনিটদর বাড়তে দেখা গেছে। বেড়েছে প্রধান সূচকও। কিন্তু শরিয়াহ সূচক সামান্য কমে গেছে। গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় দুই হাজার ১০৫ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল এক হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। ডিএসইতে মোট লেনদেনের মধ্যে ৫১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ব্লক মার্কেটে। গতকাল এ মার্কেটে ৪৫টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ১০২টি শেয়ার ও ইউনিট মোট ১৩৪ বার লেনদেন হয়। ব্লক মার্কেটে গতকাল সর্বোচ্চ ১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা লেনদেন হয় সি পার্ল বিচ রিসোর্ট লিমিটেডের, এরপরের অবস্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেডের ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।