পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক লিমিটেডের পারপেচুয়াল বন্ডে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সাবস্ক্রিপশনে শেষ হতে যাচ্ছে আগামীকাল। এর আগে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে এ বন্ডের সাবস্ক্রিপশন শুরু হয়। যা ২২ মে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পাবলিক অফারের ৬০ কোটি টাকার বিপরীতে কাঙ্ক্ষিত সাবস্ক্রিপশন জমা না হওয়ায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে সময় বাড়ানোর আবেদন জানায় ব্যাংকটি। যার পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দফায় এ সাবস্ক্রিপশনের জন্য ২২ আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে।
এর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮০০তম কমিশন সভায় এবি ব্যাংকের ৬০০ কোটি টাকার পারপেচুয়াল এ বন্ডের অনুমোদন দেয়া হয়। বন্ডটির বৈশিষ্ট্য হলো এটি হস্তান্তরযোগ্য, আনসিকিউরড, নন-কিউমিউলেটিভ, কন্টিনজেন্ট ও কনভার্টিবল। বন্ডটির ৫৪০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও বাকি ৬০ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। বন্ডটির ইউনিটপ্রতি অভিহিত মূল্য ১ হাজার টাকা। বন্ডটির কুপন হার ৬ থেকে ১০ শতাংশ, যা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, আঞ্চলিক রুরাল ব্যাংক, ট্রাস্ট, সংগঠন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য যোগ্য ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে ইস্যু করা হবে।
এ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে এবি ব্যাংক এডিশনাল টায়ার-ওয়ান মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করবে। প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও প্রাইভেট অফার উভয় ক্ষেত্রে এ বন্ডের ন্যূনতম সাবস্ক্রিপশন ১ হাজার টাকা। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড। অ্যারেঞ্জার ও ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে রিভারস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং আন্ডাররাইটার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সুপারিশ করেছে এবি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ২ শতাংশ নগদ ও ৩ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ রয়েছে। মূল্যসংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) অনুযায়ী, ২০২১ হিসাব বছরে এবি ব্যাংকের কর-পরবর্তী সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ৭১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরে নিট মুনাফা ছিল ৩৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।