দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩১ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিগুলোতে পরিচালকদের বিনিয়োগ থাকলেও, তারা নগদ লভ্যাংশ নেবে না। তবে বোনাস শেয়ারে আপত্তি নেই।
এদিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো থেকে উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা বিভিন্নভাবে সুবিধা নেন, এ অভিযোগ অনেক আগের। তারা নিজেদের বাসার জন্য বাজার, কাজের বুয়ার বেতনসহ বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে থাকেন। যে কারনে নগদ লভ্যাংশ ছাড় দিতে তাদের খুব একটা অসুবিধা হয় না বলে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ।
এছাড়া এ বছর থেকে নগদ লভ্যাংশ প্রদানের কড়াকড়ি রয়েছে। কিন্তু করোনার কারনে সব কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা নেই। যে কারনে শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হচ্ছে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, সক্ষমতা না থাকায় এবছর অনেক কোম্পানির পর্ষদ শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এটাও করত না, যদি নগদ লভ্যাংশ প্রদানে বাধ্যবাধকতা না থাকত। শুধুমাত্র বোনাস শেয়ার দিয়েই ক্যাটাগরি ধরে রাখার চেষ্টা করত।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় ৩১ কোম্পানির পর্ষদ শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে ১৩ কোম্পানির পর্ষদ বোনাস শেয়ারও ঘোষণা করেছে। উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা ওই ৩১ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ না নিলেও সবাই বোনাস শেয়ার নেবেন।
খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফায়েল কবির খান বলেন, গত বছর লভ্যাংশ দিতে পারি নাই। এ বছর রিজার্ভ থেকে ঘোষণা দিয়েছি। পরিচালকদের আয়ের অন্যান্য কোম্পানি আছে, তাই করোনার কথা মাথায় রেখে শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছি। আমাদেরকে তো সবার আগে তাদের স্বার্থই দেখতে হয়।
এছাড়াও মুন্নু সিরামিকের সচিব নাসির উদ্দিন বলেন, করোনা মহামারির কারনে এ বছর ব্যবসায় মুনাফা কম হয়েছে। যে কারনে শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। করোনার মধ্যে আর্থিক প্রয়োজনের কথা চিন্তা করতে হয়েছে।
নিম্নে শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা কোম্পানিগুলোর তথ্য তুলে ধরা হল-