চলতি ২০২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেডের আয় বাড়লেও নিট মুনাফার পরিমাণ কমে গেছে। মূলত পরিচালন খাতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে। গতকাল চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ। এ সময় বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।
নিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে গ্রামীণফোনের আয় হয়েছে ৭ হাজার ৪২২ কোটি টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ৭ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৫ শতাংশ। প্রধমার্ধে কোম্পানিটির পরিচালন খাতে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে এ খাতে ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির পরিচালন ব্যয় বেড়েছে ১১ শতাংশের বেশি। ফলে চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির পরিচালন মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আড়াই শতাংশ কমে ৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ১ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। এ সময়ের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ১১ কোটি টাকা। চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে গ্রামীণফোনের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৮২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১২ টাকা ৮৯ পয়সা। এ বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ২৫ পয়সায়।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে গ্রামীণফোন। এর মধ্যে ১২৫ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত লভ্যাংশ ও ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৫ টাকা ২৮ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরে আয় ছিল ২৭ টাকা ৫৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৯৪ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৭ টাকা ৫৪ পয়সা।
২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতেই রয়েছে ৯০ শতাংশ শেয়ার। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, ২ দশমিক ৬২ শতাংশ বিদেশী ও ২ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।