শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের শেয়ার কারসাজির কারনে ৩জনকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
দোষী ব্যক্তিরা হলেন-এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেসের পরিচালক রেজাউর রহমান, তার স্ত্রী মাকসুদা আহমেদ ও শ্যালিকা ফরিদা হোসেন। এরমধ্যে মাকসুদা আহমেদ ওয়ান সিকিউরিটিজ ও ফরিদা হোসেন ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজের গ্রাহক।
ওই ৩ জন ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের শেয়ারে সিরিজ লেনদেন এবং মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সক্রিয় লেনদেনের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ধারা ১৭(ই)(২) ও (৫) ভঙ্গ করেছে। যা ডিএসইর ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর গঠিত এক তদন্ত কমিটির তদন্তে বেরিয়ে আসে।
এই পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারের উন্নয়ন, বাজারে শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা রক্ষার স্বার্থে দোষীদেরকে জরিমানা করা প্রয়োজন এবং সমীচীন বলে কমিশন মনে করে। যে কারনে কমিশন রেজাউর রহমানকে ৩ লাখ টাকা, তার স্ত্রী মাকসুদা আহমেদকে ২ লাখ টাকা এবং শ্যালিকা ফরিদা হোসেনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই শাস্তির বিষয়ে সম্প্রতি অভিযুক্তদেরকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।
এই শাস্তি প্রদানের আগে সবাইকে শুনানিতে নিজেদের পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয় বিএসইসি। কিন্তু তাদের কারও বক্তব্য কমিশনের কাছে বিবেচনাযোগ্য হয়নি বলে দোষীদেরকে জরিমানার দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করেছে কমিশন। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আইন লঙ্ঘন করেছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
দোষীদেরকে শুনানির জন্য ২০২১ সালের ২ নভেম্বর তারিখ নির্ধারন করে চিঠি দেয় কমিশন। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি শুনানী হয়।
এ বিষয়ে এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেসের পরিচালক রেজাউর রহমান বিজনেস আওয়ারকে বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কারনে জরিমানা করা হয়েছে। আমরা এরইমধ্যে জরিমানার শাস্তির বিরুদ্ধে আপীল করেছি। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে কমিশনের চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে দেখা করেছি।