‘এক সাথে, একই স্বপ্নে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের আয়োজনে শেষ হলো ‘ওয়ালটন ব্যাটারি পার্টনার্স সামিট-২০২২’। ওয়ালটনের স্টেকহোল্ডার ও পার্টনারদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও মজবুত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে শেষ হয় দিনব্যাপী ওই সামিট।
শনিবার (১১ জুন, ২০২২) যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ওই মেগা সামিট হয়। ওয়ালটনের ব্যাটারি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় সামিট। সামিটের কার্যক্রম সকাল ৯টায় শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। খুলনা অঞ্চলে ওয়ালটনের শতাধিক ডিস্ট্রিবিউটর ও ডিলার সামিটে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) ফিরোজ আলম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কামাল হোসাইন, কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের সিবিও মাহফুজুর রহমান, ওয়ালটন ব্যাটারির বিজনেস কো-অর্ডিনেটর রাজাউর রহমান, ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার বাবর আলী আপন ও এসএম সেলিমুর রহমান এবং ওয়ালটন ব্যাটারির ব্র্যান্ডিং বিভাগের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অনিক আহমেদ প্রমুখ।
সামিটে ওয়ালটন ব্যাটারির উৎপাদন, গুণগত মান এবং মার্কেট সম্পর্কিত বিভিন্ন পর্যালোচনা তুলে ধরেন ওয়ালটনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বক্তব্য দেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ওয়ালটনের ব্যবসায়িক পার্টনাররা।
সিবিও মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে সফলতার সঙ্গে ব্যাটারি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। ২০২২ সালকে ব্যাটারি অ্যাওয়ারনেস ইয়ার হিসেবে ঘোষণা করেছে ওয়ালটন। দেশে ব্যবহৃত ৬০-৭০ শতাংশ মোটরসাইকেলের ব্যাটারি আমদানি করা হয়। অর্থাৎ মোটরসাইকেল ব্যাটারির একটি বিশাল বাজার রয়েছে বাংলাদেশে। ওয়ালটন এই বিশাল চাহিদা মেটাবে। পাশাপাশি, ওয়ালটন ব্যাটারি রপ্তানি হবে সারা বিশ্বে। ওয়ালটনের আছে শক্তিশালী রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বা আরএন্ডআই টিম যারা ব্যাটারির শতভাগ কোয়ালিটি নিশ্চিত করছে। আমাদের শক্তিশালী সেলস ও মার্কেটিং টিম ওয়ালটন ব্যাটারি পণ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করছে।’
সিএমও ফিরোজ আলম বলেন, ‘বিশ্বের ৪০টির বেশি দেশে এখন রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। ওয়ালটনের ব্যাটারি পণ্যও শিগগিরই যুক্ত হতে যাচ্ছে এই রপ্তানি তালিকায়। ব্যাটারির বিশাল বাজার আছে বাংলাদেশসহ সব দেশে। ব্যাটারি প্রোডাক্টের সম্ভবানাও তাই অনেক বেশি। ব্যবসায়িদেরকে ব্যবসায় ইনভেস্ট করতে হবে বেশি বেশি। এভাবেই নিজের এলাকায় সেরা ব্যবসায়ী হয়ে উঠবেন ওয়ালটনের বিজনেস পার্টনাররা।’
আমিন খান বলেন, ‘ওয়ালটন আর তার ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে রয়েছে আস্থার সম্পর্ক। ও ডিস্ট্রিবিউটর ও ডিলারদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ ও সম্পর্কের মধ্য দিয়ে ব্যবসা করে ওয়ালটন। ডিস্ট্রিবিউটরকে দেয়া সব অঙ্গীকার পূরণ করে। ওয়ালটনের বিজনেস পার্টনারদের ভবিষ্যৎ দেখার ভিশন থাকতে হবে। তবেই ব্যবসায় দ্রুত এগুনো যাবে। আমি আশা করি, আজকের প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলে ওয়ালটন ব্র্যান্ড এবং ব্যাটারি ব্যাপক সাড়া ফেলবে।’
উল্লেখ্য, সারা দেশে শুধু মোটরসাইকেল ব্যাটারির মার্কেট আছে ১ হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে ৬০০ কোটি টাকার মার্কেট আছে বিদেশিদের হাতে। গড়ে সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা বিদেশিদের হাতে চলে যাচ্ছে। এদিকে, নিজস্ব বিশাল কারখানায় বছরে ১৫ লাখ ইউনিট ব্যাটারি উৎপাদন করছে ইলেক্ট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। এর মাধ্যমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে ওয়ালটন ব্যাটারি বিদেশে রপ্তানি করা যাবে, এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
সামিটের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে গান পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী সন্ধ্যা ও ইলমা। র্যাফেল ড্র’র মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান। এছাড়া, ওয়ালটন ব্যাটারি সেলসে অসামান্য অবদান রাখায় খুলনা অঞ্চলের ৬ ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরকে বিশেষ সম্মানা দেওয়া হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্ত ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—চুয়াডাঙ্গার মারুফ ট্রেডার্স, যশোরের বিশ্বাস অটো, খুলনার কালিগঞ্জের বিসমিল্লাহ অটো, খুলনার বিসমিল্লাহ অটো, কুষ্টিয়ার বিসমিল্লাহ মটরস, যশোরের আরএইচ ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স।