করোনাভাইরাসের শুরুতে দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধস নামে। যাতে করে শেয়ার ও ইউনিট দর তলানিতে নেমে যায়। তবে সেই পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে কাটিয়ে তুলেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন। যাতে করে তার নেতৃত্বের শুরুর দেড় বছরে (জুলাই ২০-ডিসেম্বর ২১) তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর গড়ে প্রতিটি শেয়ারের দর ৬১ শতাংশ করে বাড়ে। কিন্তু চলতি বছরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে ডলারে অস্থিরতাসহ কয়েকটি কারনে শেয়ারবাজারে মন্দাবস্থা তৈরী হয়। যাতে করে চলতি বছরে গড়ে প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ৯ শতাংশ।
দেখা গেছে, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রতিটি শেয়ারের গড় দর ছিল ৫৯.১২ টাকা ও গড় ইউনিট দর ছিল ৭.৩১ টাকা। যা কমে চলতি বছরের ৩১ মে শেয়ার দর ৫৪.০৮ টাকায় ও ইউনিট দর ৭.০৭ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এ হিসাবে চলতি বছরে গড়ে প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ৫.০৪ টাকা বা ৯ শতাংশ ও ইউনিট দর কমেছে ০.২৪ টাকা বা ৩ শতাংশ।
গত ৩১ মে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৯২ কোটি ১০ লাখে। এগুলোর ওইদিন প্রতিটির গড় ৫৪.০৮ টাকা করে মোট দর দাঁড়ায় ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩৭ কোটি ৯০ লাখ টাকায়। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের গড় ইউনিট দর দাড়াঁয় ৭.০৭ টাকায়। ওইসময় ৫৪৩ কোটি ৫০ লাখ ইউনিটের মোট দর ছিল ৩ হাজার ৮৪২ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সব শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছিল ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬৬ কোটি ৭০ লাখ টাকায়। যাতে প্রতিটি শেয়ারের গড় দর ছিল ৫৯.১২ টাকা। আর ৪ হাজার ৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের প্রতিটি ইউনিটের গড় দর দাঁড়িয়েছিল ৭.৩১ টাকায়।
বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর (মিউচুয়াল ফান্ড ছাড়া) পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৮২ হাজার ৯২১ কোটি টাকায়। যা ৩৪৯টি কোম্পানির গড়ে রয়েছে ২৩৭ কোটি ৫৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর ৩৬টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পরিশোধিত মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৩৪ কোটি ৯০ লাখ টাকায়। যা গড়ে প্রতিটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পরিশোধিত মূলধন দাঁড়িয়েছে ১৫০ কোটি ৯৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকায়।