পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের গ্রিন-সুকুক আল ইসতিসনার ট্রাস্টি সভা আজ বেলা সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি আগামী ২২ জুন সমাপ্ত প্রথমার্ধের বিনিয়োগের বিপরীতে রিটার্ন ও এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি ডিএসইর ‘এন’ ক্যাটাগরিতে এটির লেনদেন শুরু হয়। বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক আল ইসতিসনা শরিয়াহভিত্তিক বন্ডটির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ বেক্সিমকো লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেডের নির্মাণকাজে ব্যয় করা হয়। এছাড়া বেক্সিমকোর বস্ত্র খাতের ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা এবং পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে এ অর্থ ব্যবহার করা হয়। বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক ট্রাস্ট নামে স্পেশাল পারপাস ভেহিকলের মাধ্যমে এ সুকুক ইস্যু করা হয়।
এ সুকুকের মেয়াদ পাঁচ বছর। ৯ শতাংশ ভিত্তিমূল্যের সঙ্গে মার্জিন যোগ করে ছয় মাস অন্তর বন্ডটিতে বিনিয়োগের বিপরীতে রিটার্ন দেয়া হবে। বেক্সিমকো লিমিটেডের আগের বছরের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ঘোষিত লভ্যাংশ ও ভিত্তিমূল্যের ব্যবধানের ১০ শতাংশ মার্জিন হিসাবে নির্ধারণ করা হবে। যদি লভ্যাংশের হার ভিত্তিমূল্যের সমান বা কম হয় তাহলে সেক্ষেত্রে ভিত্তিমূল্যের হিসাবে রিটার্ন প্রদান করা হবে। আর লভ্যাংশ ৯ শতাংশের বেশি হলে তার ১০ শতাংশ সুকুকের মুনাফার সঙ্গে যুক্ত হবে।
এর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৭৯তম কমিশন সভায় বেক্সিমকো লিমিটেডের সুকুকটি অনুমোদন করা হয়। গত বছরের এপ্রিলে বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক ইস্যুর পরিকল্পনায় অনুমোদন দেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।