1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
বিশেষ ছাড় শেয়ারবাজার চাঙ্গা করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন

বিশেষ ছাড় শেয়ারবাজার চাঙ্গা করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের

  • পোস্ট হয়েছে : মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২
bangladesh bank

তারল্য বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের শেয়ারবাজারকে চাঙ্গা করতে বিশেষ ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, শেয়ারবাজারে তারল্য বাড়ানোর জন্য ব্যাংকগুলোর বিশেষ তহবিলের আকার ২০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকায় করা হয়েছে। এছাড়া বিশেষ এই তহবিলের মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়িয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।

এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখে জারিকৃত ডিওএস সার্কুলারের নং-০১ মাধ্যমে তফসিলি ব্যাংকসমূহ কর্তৃক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বিশেষ তহবিল গঠন এবং উক্ত তহবিল হতে বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

সেই নির্দেশনায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোর ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করার কথা বলা হয়। যা এখন বৃদ্ধি করে ৩০০ কোটি টাকায় করা হয়েছে।

পুনঃতহবিলের মেয়াদ বৃ্দ্ধি:

এদিকে শেয়ারবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য গঠিত তহবিলের ‘পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল’-এর মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়িয়ে ২০২৭ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়ে সায় দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর আগে রোববার এই বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই অনুমোদনের প্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত তহবিলের আওতায় বিনিয়োগকারীদের ঋণ হিসেবে দেওয়া আদায় করা আরও ১৫৩ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃ-অর্থায়ন তহবিলে যোগ হবে।

এরফলে এই তহবিলের আকার দাঁড়াবে ১ হাজার ৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত এই তহবিল থেকে অর্থ ঋণ হিসেবে নিয়ে তা বিনিয়োগকারীদের দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ সংস্থা আসিবি।

২০১৩ সালে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের পুনঃঅর্থায়ন তফসিল বা নতুন ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদ আরোপ করে ৯০০ কোটি টাকার সহায়তা তহবিল গঠন করা হয়, যার মেয়াদ ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরা ছিল। এরপর তা দফায় দফায় বাড়ানো হয়। সবশেষ ২০১৯ সালে তিন বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়, যা ২০২২ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

২০১০ সালের ধসের পর শেয়ারবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পোষাতে এই তহবিল গঠন করেছিল সরকার।

সোমবার এই বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, ‘৯০০ কোটি টাকা দিয়ে সৃষ্ট ‘পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল এর আদায়কৃত ১৫৩ কোটি টাকা আবর্তনশীল ভিত্তিতে পূর্ণবিনিয়োগযোগ্য তহবিলের সঙ্গে যুক্তকরণ ও তহবিলের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো।’

পাশাপাশি এই তহবিল থেকে নেওয়া সর্বশেষ ঋণ পরিশোধ করা যাবে ২০২৮ সালের মার্চ পর্যন্ত বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। এতে চলতি বছরের মধ্যে তহবিলের অর্থ ফেরত দিতে বিনিয়োগকারীরা আরও সময় পেলেন। টানা নিম্নমুখী পুঁজিবাজারে এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এখন এই অর্থ ব্যবহার করে কেনা শেয়ার বিক্রির চাপ কমল।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ